স্থানীয় সংবাদ

পলিথিন ও প্লাষ্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সভায় বক্তারা

পরিবেশ-প্রতিবেশের মৃত্যুদূত পলিথিন

স্টাফ রিপোর্টার ঃ মঙ্গলবার সকালে দৌলতপুর ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিস এর মিলনায়তন কক্ষে আমেরিকান কর্নার এর সহযোগীতায় এবং পরিবর্তন-খুলনার আয়োজনে পলিথিন ও প্লাষ্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং জনসচেতনতা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান শতাব্দীতে আমাদের স্বাস্থ্যকর অস্তিত্বের হুমকির আরেক নাম প্লাস্টিক দূষণ। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে পলিথিন ও প্লাস্টিক জাতীয় পণ্যের প্রচলন মানব জীবনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসে। কিন্তু এই প্লাস্টিক পণ্যটি কখনও দ্রবীভূত হয় না বলে এর দূষণ জন্ম দিয়েছে গভীর উদ্বেগের। করোনাকালে অনলাইন শপিং ও অনলাইন ফুড ডেলিভারিতে ব্যবহৃত নানা রকমের প্লাস্টিকের মোড়ক, ওয়ানটাইম চামচ, গ্লাস ইত্যাদি প্লাস্টিক দূষণের গতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আর এ দূষণ পরিবেশ, জীববৈচিত্র, অর্থনীতি ও মানবস্বাস্থ্যের জন্য এক বিরাট হুমকি। সুন্দর এই ধরণীকে বাসযোগ্য করে তুলতে এক্ষণি সময় প্লাস্টিক দূষণের লাগাম টানার। সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে বিভিন্ন সময়ে পলিথিন ব্যবহার বিষয়ে বিভিন্ন গণনচেতনতামূলক প্রচারাভিযান পরিচালিত হয়েছে এবং হচ্ছে। কিন্তু ফলাফল শূণ্য। কারণ মানুষের কাছে বিকল্প উপায় পৌঁছানো সম্ভব না হলে শুধু সচেতনতা দিয়ে কোন কাজ হয় না। পলিথিন বন্ধ করার ক্ষেত্রে যে কাজগুলো করলে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যেতে পারে, তা হলো- স্বল্পমূল্যে অথবা বিনামূল্যে জনগণকে ‘ক্যারিব্যাগ’ সরবরাহ করতে হবে। কাগজের ব্যাগ বা ঠোঙ্গা ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। পুরাণ কাপড় বা চটের পূণর্ববহার বাড়াতে হবে। অবিলম্বে দেশব্যাপী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানা বন্ধ করতে হবে এবং মজুদ ধ্বংস করতে হবে। আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে চাইলে, আজ এই মূহুর্ত থেকে আমাদের পলিথিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে এবং এক্ষেত্রে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণের কোন বিকল্প নেই। পরিবর্তন-খুলনার নির্বাহী পরিচালক এম. নাজমুল আজম ডেভিডের পরিচালনায় আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড: আ. ফ. ম. মহসিন, ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মাদ আলী; আ’লীগ নেতা শ্যামল সিংহ রায়; আ’লীগ নেতা শেখ মফিজুর রহমান হিরু, ডি এন সি আরপির সহকারি পরিচালক মো: ওয়াহিদ-বিন হাবিব, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় উড এ্যান্ড টেকনলজি প্রফেসর, ড: মো: ওয়াসিউল ইসলাম, কৃষি মার্কেটিং অফিসার শাহরিয়ার আকুঞ্জি, পরিবেশ সুরক্ষা মঞ্চ খুলনার সভাপতি এড. কুদরত ই খুদা, মাসাস প্রধান নির্বাহী শামিমা সুলতানা শীলু, মাছরাঙা টিভির সাংবাদিক আবু হেনা মোস্তফা জামাল পপলু; বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সভাপতি শেখ আশরাফুজ্জামান, সিএসও সভাপতি মিনা আজিজুর রহমান, সম্প্রীতি ফোরাম সভাপতি সিলভী হারুন, দৌলতপুর বাজার বনিক সমিতি সা: সম্পাদক, মো: নান্নু মোড়ল, সিনিয়র সাংবাদিক ওয়াহেদ-উজ-জামান বুলু, সাইফুল ইসলাম, জনউদ্যোগের মহেন্দ্র নাথ সেন, দি ডেইলি স্টার খুলনা দিপঙ্কর রায়, দৈনিক পূর্বাঞ্চল সিনিয়র প্রতিবেদক এইচ. এম. আলাউদ্দিন, সুজনের মহানগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান সুমন, আমেরিকান কর্নারের ফারজানা রহমান, বেলার বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহাফুজুর রহমান মুকুল, শরিফুল ইসলাম সেলিম, পলাশ দাশ, শামিম আশরাফ শেলী, মারিয়া ভূইয়া মেরী, ঝর্না আক্তার বৃষ্টি, শরিফ শাকিল বিন আলম, শেখ. আল মুকিত আনতন, রুখসানা নাছরিন, পরিবর্তন-খুলনা সভাপতি অজন্তা দাসসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনীধিবৃন্দ।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button