স্থানীয় সংবাদ

যারা নিরীহ মানুষের জীবন ও সম্পদ কেড়ে নিবে তাদেরকে কঠোরভাবে দমন করা হবে

আ’লীগের শান্তি সমাবেশে সিটি মেয়র

স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের শান্তি-শৃঙ্খলার লক্ষে রাজনীতি করে। এ শান্তি রক্ষায় জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বহু রক্ত দিয়েছে। এছাড়া শান্তির জন্যই রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়েও দেশ ও মানুষের কথা ভেবে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে রাষ্ট্র ক্ষমতা ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে এদেশ আবার অশান্ত হয়ে যায়। শান্তি ফিরিয়ে আনতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসেন। তিনি গণতন্ত্র ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনেক গণতান্ত্রিক আন্দোলন করেছেন। তবুও কোন মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যার রাজনীতি করেন নি। তিনি ‘৯৬ এ সরকার গঠন করে মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০১ সালে জামায়াত-বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে হত্যা, লুটপাট আর জঙ্গীবাদের রাষ্ট্রে পরিণত করে। দেশ আবারও অশান্ত হয়ে উঠে। এদেশের মানুষ আবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে ১৯৭০ সালের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনেন। সেই থেকে প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা একের পর এক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে মৌলিক চাহিদা পূরণ করে মানুষের শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে। সেই শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করতে কুলাঙ্গার তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি জীবন্ত মানুষকে অগ্নিদগ্ধ করে হত্যা করছে। তারা হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, মানুষের শেষ সম্বল টুকুও পুড়িয়ে ধ্বংস করে দিচ্ছে। মানুষ শান্তি প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছে। এদেশে মানুষকে শান্তি দিতে হবে। যারা নিরীহ মানুষের জীবন ও সম্পদ কেড়ে নিয়ে শান্তি বিনষ্ট করবে তাদেরকে যেখানে পাওয়া হবে সেখানেই দমন করা হবে। তাই আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে সতর্ক থেকে সাধারণ মানুষের পাশে অবস্থান নিতে হবে। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় মহানগর আওয়ামী লীগের শান্তি মিছিল র্প্বূক সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময়ে বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী এনায়েত হোসেন, মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর ও এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ কামাল, উপ-দপ্তর সম্পাদক হাফেজ মো. শামীম, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা, সদর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরিনা রহমান বিউটি, মহানগর যুবলীগের সভাপতি মো. সফিকুর রহমান পলাশ, মহানগর তাঁতী লীগের আহ্বায়ক এ্যাড. শামীম আহমেদ পলাশ, মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহমুদুর রহমান রাজেস। মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, এ্যাড. রজব আলী সরদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ আলমগীর কবির, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর আলী আকবর টিপু, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, কামরুল ইসলাম বাবলু, এ্যাড. সরদার আনিছুর রহমান পপলু, মাহবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, এস এম আকিল উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি আইয়ুব আলী, মো. নুর ইসলাম, শেখ আবিদ উল্লাহ, শেখ জাহিদুল ইসলাম, চ ম মুজিবর রহমান, জামিরুল হুদা জহর, মঈনুল ইসলাম নাসির, শেখ মো. আব্দুল আজিজ, ফেরদৌস হোসেন লাবু, বাবুল সরদার বাদল, আব্দুল হাই পলাশ, এ্যাড. ফারুক হোসেন শেখ, মো. আব্দুর রশীদ, কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার চালু, ইউসুফ আলী খান, মুন্সি মো. মোত্তালিব মিয়া, মীর মো. লিটন, মুন্সি মো. সেলিম হোসেন, অহিদুল ইসলাম পলাশ, মো. ফায়েজুল ইসলাম টিটো, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, সরদার আব্দুল হালিম, শেখ মো. রুহুল আমিন, শেখ এশারুল হক, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, মো. শিহাব উদ্দিন, নজরুল ইসলাম তালুকদার, তকদির এ এলাহী, রনজিত কুমার ঘোষ, অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুল, শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, নাসরিন আক্তার, এ্যাড. ইব্রাহীম খলিল ইমন, শেখ নজিবুল ইসলাম নজিব, প্যানেল মেয়র রফিউদ্দিন আহমেদ রফিক, কাউন্সিলর এস এম রাজুল হাসান রাজু, কাউন্সিলর মো. আরিফ হোসেন মিঠু, কাউন্সিলর জাকির হোসনে বিপ্লব, কাউন্সিরর ইমরুল হাসান, কাউন্সিলর কণিকা সাহা, মো. আমির হোসেন, এ্যাড. এনামুল হক, নুর জাহান রুমি, শরিফ এনামুল কবির, মো. মোক্তার হোসেন, এ্যাড. এম এম সাজ্জাদ আলী, মো. রুহুল আমিন খান, মেহজাবিন খান, আলী আকবর মাতুব্বর, নাছরিন ইসলাম তন্দ্রা, আফরোজা জেসমিন বিথী, তোতা মিয়া ব্যাপারী, মো. আব্দুর রাজ্জাক, এ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান, ফেরদৌস আলম রিতা, রোকেয়া রহমান, শামীমুর রহমান শামিম, শরিফুল ইসলাম মুন্না, কবির পাঠান, মো. আবুল হোসেন, মো. জিলহাজ¦ হাওলাদার, জব্বার আলী হীরা, সংকর কুন্ডু, রুম্মান আহমেদসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ শেষে মহানগর আওয়ামী লীগের বিশাল শান্তি মিছিল নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button