নগরীর আহসান উল্লাহ কলেজের সামনে গুলিতে নিহত রানা হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার

সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের বিশেষ অভিযান
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
স্টাফ রিপোর্টার ঃ অবশেষে কেএমপি’র সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে নগরীর আহসানউল্লাহ কলেজের সামনে গুলি করে বিহারী রানা(৩৬) হত্যা মামলার তদন্তে প্রাপ্ত হাবিবুর রহমান ওরফে সবুজ(৩২) নামে এক আসামী গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারকৃত সবুজ এই হত্যার সাথে জড়িত বলে আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেফতারকৃত সবুজ ফুলবাড়ি গেটস্থ মহেশ্বরপাশা দিঘির পশ্চিমপাড় এলাকার হায়দার আলীর ছেলে। বর্তমানে সে ছোট বয়রা ফয়েজ উদ্দিন স্কুলের পিছনে বসবাস করে।
পুলিশ জানায়, গত ৩০ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৬টায় সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম কর্তৃক আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় উক্ত থানাধীন ছোট বয়রা ফয়েজ উদ্দিন স্কুলের পিছন থেকে তদন্তে প্রাপ্ত আসামী সবুজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অত:পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামী হাবিবুর রহমান ওরফে সবুজের ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বতস্ফূর্তভাবে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে আদালতে সোপর্দ করে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা অনুমান ৬টা৫০ মিনিটে সোনাডাঙ্গা মডেল, থানাধীন ৩১ কেডিএ এভিনিউ রোডস্থ আহসানউল্লাহ কলেজের মেইন গেটের সামনে ২০নং দেবেন বাবু রোড এলাকার মো: ইসলাম শেখের ছেলে সাদিকুর রহমান রানা ওরফে বিহারী রানা এবং ৩৫৪ শেরে বাংলা রোড এলাকার মতলেব শেখের ছেলে মোঃ জাহিদ হাসান পলাশ(৩৬) পৌঁছাইলে অজ্ঞাতনামা আসামীরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা গুলি করে। আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে ভিকটিম সাদিকুর রহমান রানা ওরফে বিহারী রানা ও তার বন্ধু মোঃ জাহিদ হাসান পলাশ গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হয়। তখন উপস্থিত আশেপাশের লোকজন তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনার জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ৭টা৪৫ মিনিটে বিহারী রানা‘কে মৃত ঘোষণা করেন। এই প্রেক্ষিতে হত্যা মামলার বাদী হাবিবা রানু (৩০) এর এজাহারনামীয় ১০ জন সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন আসামীদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন। এঘটনায় গত ২৪ জানুয়ারী সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় ধারা ৩০২/৩০৭/৩২৬/৩৪ মোতাবেক হত্যা মামলা দায়ের করেন যার নং-১৭।