কেশবপুরে খাস জমি দখল করে দেদারছে চলছে ইটভাটার কার্যক্রম

পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র বিহীন
কেশবপুর প্রতিনিধি : যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার ৯নং গৌরিঘোনা ইউনিয়নে আটরহাটি গ্রামে শোলগাতিয়া ব্রিজের নিচে অবস্থিত রয়েল ব্রিকসের মালিক পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড় পত্র বিহীন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের শোলগাতিয়া হরি নদী সহ প্রায় ১০-১৫ বিঘা খাস জমি দখল করে মাটি কাটা, ইট তৈরি এবং ইট পোড়ানোর সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। সরজমিনে যেয়ে দেখা যায়, রয়েল ব্রিকস নামে এর ইট ভাটার ইট তৈরি র সকল মাটি পানিউন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন দীর্ঘদিনের পুরাতন শোলগাতিয়া হরি নদীর প্রায় ১০-১৫ বিঘা সরকারি খাস জমির দখল করে মাটি কাটা হচ্ছে। নদীর মাঝ বরাবর বড় ধরনের বাঁধ নির্মাণ করে নষ্ট করা হচ্ছে নদীর নাব্যতা। অন্যদিকে বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত আইন অমান্য করে পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র ছাড়ায় দিদারচ্ছে চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইট পোড়ানোর সকল কার্যক্রম। এই ইট ভাটার পাশে রয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে নির্মিত গুচ্ছো গ্রাম যেখানে বসবাস করে প্রায় শতাধিক পরিবার। কাট, কয়লা ও বিভিন্ন ক্যামিকাল ব্যাবহার করে ইট পোড়ানোর জন্য পরিবেশ ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এই দূষিত ধোঁয়ায় কারনে ঐ এলাকার বসবাস কারী লোকজনের স্বাস্থ্যের রয়েছে ব্যাপক ঝুকি। এছাড়াও পরিবেশ বিধ্বংসী ক্ষতি কারক ধোঁয়ার কারনে ঐ এলাকার কৃষি জমির ফসল এবং মৎস্য ঘেরের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। অন্যদিকে, ইট পোড়ানো ক্লিনের পাশ দিয়ে প্রায় ৪-বিঘা সরকারি পুরাতন খাস খালের জমির দখল করে ইট তৈরি করা হচ্ছে। তথ্য সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় গৌরিঘোনা ইউনিয়ন বুড়লিয়া ভুমি অফিসের কর্মকর্তা বিগতদিনে খাস জমি উদ্ধারে জমি মাপ দিয়ে লাল ফ্লাক টানিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে এবং ইট ভাটা মালিক কে সরকারি খাস জমি ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনা অমান্য করে এবারও সেই খাস জমি দখল করে সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ভাটা মালিক। এই ব্যাপারে যশোর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক বলেন, রয়েল ব্রিকসের নামে কোন ছাড়পত্র নাই নবায়ন করেনি। অতএব, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ইট পোড়ানো কার্যক্রম চলোমান থাকলে আমরা ব্যাবস্তা নিবো। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করার কোন সুযোগ ইট ভাটা মালিকের নাই আমরা সরজমিনে তদন্ত পূর্বক খুব তাড়াতাড়ি ব্যাবস্থা নিবো। যশোর জেলা প্রশাসক- মোহম্মদ আবরাউল হাচান মজুমদার বলেন, সরকারি খাস জমি দখল করে মাটিকাটার কোন অধিকার ইট ভাটা মালিকের নাই, আপনাদের মাধ্যমে আমরা এই তথ্য জানতে পারলাম। খুব তাড়াতাড়ি সরকারি খাস জমি উদ্ধার পূর্বক ব্যাবস্থা নিবো।