যশোরে বন বিভাগের কর্মকর্তা নিষেধ করার পরও গাছ কর্তনের অভিযোগ
যশোর ব্যুরো ঃ যশোর উপশহরের মেয়াদ উত্তীর্ন অবৈধ মসজিদ কমিটির ক্ষমতা সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের চেয়েও বেশি। যে কারণে সদর উপজেলা বন বিভাগ গাছ কাটতে নিষেধ করলেও তোয়াক্কা করেনি বিব্লক মসজিদ কমিটি। তারা চলে যাওয়ার পর কদম গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোন নিয়ম মানা হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গাছ কাটতে হলে বন বিভাগ থেকে অনুমতি নিতে হয়। এরপর দাম নির্ধারণ করে গাছ কাটতে হয়। কিন্তু বিব্লক মসজিদ কমিটি কোন অনুমতি ছাড়াই সরকারি নীতিমালা না মেনেই গায়ের জোরে শুক্রবার ২ ফেব্রুয়ারি তিনটি গাছ কাটে। সেই সাথে কদম গাছের ডালপালা ছাটা হয়। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় উপজেলা বন বিভাগের ফরেস্টার হাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ কাটতে নিষেধ করে আসেন। তিনি তাদের বলেন উপজেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনুমতি নেয়ার পর গাছ কাটতে হবে। তিনি দাবি করেন গাছ তাদের না। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের। ওই কর্মকর্তা চলে আসার পর পুরো গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এ বিষয়টি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলে তিনি জানান। জাতীয় গৃহায়নের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রিদুয়ার হোসেন জানান, গাছ কাটার জন্য নিয়ম মানতে হবে। যেহেতু সেটা করা হয়নি। একারনে গাছ কাটার বিষয়টি ঢাকার উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে সেটা বাস্তবায়ন করা হবে।