বাচ্চা উৎপাদন বাড়ছে খুলনা হাঁস প্রজনন খামারে

বছরে ২ লাখের বেশি উৎপাদন
শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ খুলনা দৌলতপুর পাবলা সরকারী হাসঁ প্রজনন খামারে আগের তুলনায় আরও বেশি বাচ্চা উৎপাদন হচ্ছে। প্রতি মাসে প্রায় ১৭ থেকে ১৮ হাজার হাসেঁর বাচ্চা উৎপাদন করা হচ্ছে। বর্তমানে বছরে প্রায় দুই লাখের বেশি বাচ্চা উৎপাদন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে খুলনা হাস প্রজনন অফিস কর্তৃপক্ষ। তবে শীতকালীন সময়ে বাচ্চা মারা যাওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। এক্ষেত্রে খামারীরা যদি কর্র্তৃপক্ষের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী নিয়মিত ভিটামিন ও প্লেগ ভ্যাক্সিন বাচ্চার শরীরে প্রয়োগ করে তাহলে শতকরা ৯০ শতাংশ বাচ্চা বাঁচানো যায়। এছাড়া খুলনা হাস প্রজনন খামার থেকে এসব বাচ্চা হাসগুলো সারে চার মাস বয়স থেকে ডিম উৎপাদন করতে পারে। এসব ক্যাম্বেল লেয়ার জাতীয় হাসঁগুলো প্রায় সারা বছরে প্রায় ২৬০ থেকে ২৮০ টি ডিম দিয়ে থাকে। পাশাপাশি তারা দুই বছর পর্যন্ত ডিম উৎপাদন করতে পারে। বাণিজ্যিক ভাবে এসব হাস পালন করতে পারলে লাভবান হওয়া যায়। এছাড়া একটি বাচ্চা শীত কালীন সময়ে প্রতি পিচ ক্যাম্বেল হাসেঁর বাচ্চা বিক্রি করা হয় মাত্র ২০ টাকায় আর গৃস্মকালীন সময়ে এসব বাচ্চা গুলো বিক্রি করা হয় ২৫ টাকা প্রতি পিচ। এছাড়া একজন খামারীর এক সাথে ৫শ বেশি বাচ্চা ক্রয় করতে পারেনা। পাশাপাশি এসব হাসেঁর বাচ্চা ক্রয় করতে হলে অবশ্যই তাকে খামার আছে এই মর্মে স্থানীয় জেলা, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর হতে একটি প্রত্যয়ন পত্র লাগবে। তবে, যেসব খামারীরা ৫০টি বা ১শটি বাচ্চা ক্রয় করতে ইচ্ছুক সেক্ষেত্রে কোন খামারীর প্রত্যয়ন পত্র প্রয়োজন নেই। এছাড়া অনেকে হাসের বাচ্চা কম দামে ক্রয় করে ভালভাবে লালন পালন করতে পারলে মাসিক একটি ভাল উপার্জন সম্ভব বলে মনে করেন অধিকাংশ খামারীরা। এ বিষয়ে কথা হয় ছোট খামারী ব্যবসায়ী মোঃ আরিফ হোসেন এর সাথে তিনি বলেন, তিনি বলেন, আমি খুলনা হাঁস প্রজনন খামার হতে ১২০টি ছোট ক্যাম্বল হাঁেসর বাচ্চা ক্রয় করেছিলাম। কিছু বাচ্চা মরা গিয়েছিল এখন আমার নিজস্ব মৎস ঘেরের উপরে এই খামার করেছি। বর্তমান আমার প্রায় প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ ডিম পাচ্ছি। তবে জায়গা সল্পতার কারণে একটু সমস্যা হয়েছে। যে কারণে কিছু হাস বিক্রি করেছিলাম। এসব হাসেঁর বাচ্চা নেয়ার পর হাস প্রজনন খামার থেকে দেয়া নির্দেশনা সঠিক মত মানতে পারলে কোন হাস মারা যায় না। ভাল ভাবে লালন পালন করলে আপনি লাভবান হবেন। এ বিষয়ে খুলনা হাস প্রজনন খামারের উপঃ সহকারী পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আগের তুলনায় বাচ্চা উৎপাদন একটু বেশি হচ্ছে। এসব ক্যাম্বল হাসেঁর বাচ্চা থেকে লাভবান হওয়া যায় যদি আমাদের দেয়া নির্দেশনা সঠিকভাবে মানতে পারে। ৯০ এর দশকে প্রায় ১০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত খুলনা সরকারী হাসঁ প্রজনন খামারের সেডে বর্তমানে চার হাজারেরএকটু বেশি ক্যাম্বেল হাসঁ আছে। এর মধ্যে প্রায় আড়াই হাজারের মত লেয়ার ক্যাম্বেল হাসঁ আছে। আমরা এই ডিম দিয়ে বাচ্চা উৎপাদন করে থাকি। বর্তমান সময়ে শতকরা ১শটি ডিমের মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ টি বাচ্চা উপাদন করা যায়। এছাড়া এখানে কোন দালাল নেই সরাসরি ছোট বড় খামারীরা আমার কাছে আসলে আমি নিয়ম মাফিক বাচ্চা দিব।