স্থানীয় সংবাদ

বাগেরহাটের সুন্দরবন দুবলারচর শুঁটকি পল্লীর জেলেদের মাঝে আতঙ্ক

যুদ্ধাপরাধ মামলার আসামী খোকন রাজাকারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

আজাদুল হক, বাগেরহাট ঃ বঙ্গোপসাগর তীরে বাগেরহাটের পুর্ব-সুন্দরবনের দুবলারচর শুঁটকি পল্লীর জেলেদের দীর্ঘদিনের আতংক যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী খোকন রাজাকারের বিরুদ্ধে অবশেষে তদন্ত শুরু হয়েছে। আর সম্প্রতি এ তদন্তের খবর পেয়ে দুবলার চর ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে শুঁটকি ব্যবসায়ী খান শফিউল্লাহ খোকন ওরফে খোকন রাজাকার। এদিকে, মামলার বাদীকে শফিউল্লাহ খোকনের স্বজনরা বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দুবলা শুটকী পল্লীর আলোরকোল এলাকার একাধিক জেলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করে বলেন, খুলনার রুপসা উপজেলার শোলপুর দেয়ারা এলাকার স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন রাজাকার কমান্ডার খান শফিউল্লাহ খোকন দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় দুবলারচরের শুঁটকি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন। তার দাপটে সাধারণ জেলেরা প্রতি মুহুর্তে আতংকে থাকেন। অভিযোগ রয়েছে ১৯৭১ সালে রাজাকার কমান্ডার খান শফিউল্লাহ খোকন রুপসা যুগীহাটি গ্রামের সামসুর রহমান শামা মল্লিকসহ আরো কয়েকজনকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় শামা মল্লিকের ছেলে সাইফুল মল্লিক গামা যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৫ জানুয়ারী যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তারা রুপসা থানায় বসে খোকন রাজাকারের বিরুদ্ধে স্বাক্ষী গ্রহণ করেন। অপরদিকে শফিউল্লাহ খোকনের স্বজনরা মামলার বাদী সাইফুল মল্লিক গামাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছে বলে সাইফুল মল্লিক সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন। এ মামলার ২ নং স্বাক্ষী আলহাজ মুনসুর আলী পোদ্দার বলেন, খান শফিউল্লাহ খোকন একজন রাজাকার কমান্ডার ছিলেন। তার নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে রাজাকাররা শোলপুর দেয়ারা এলাকায় নারী ধর্ষণ, লুট ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। সে নিজেকে আড়ালে রাখার জন্য সুন্দরবনের দুবলারচরে অবস্থান নিয়ে শুঁটকি মাছের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন। তার নির্যাতনে অনেক ব্যবসায়ী ও সাধারণ জেলে দুবলারচর ছেড়ে চলে গেছেন। তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্তের খবর পেয়ে খান শফিউল্লাহ খোকন দুবলারচর ছেড়ে আকস্মিকভাবে গা ঢাকা দিয়েছেন বলে আলহাজ মুনসুর আলী রবিবার সকালে জানান।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button