গরমের অভাসে শীতের বিদায়ী ঘণ্টা!

ইতোমধ্যে নগরবাসী গরমের অনুভব শুরু করেছে
স্টাফ রিপোর্টার ঃ মাঘ মাসের শেষাংশ চলছে, শীত যেন গেল গেল। ইতোমধ্যেই গরমের আভাসে শীত যেন উধাও হতে বসেছে, বিদায়ী ঘন্টা বাজাতে শুরু করেছে শীতের। কয়েকদিন আগে সেই হাড় কাপানো শীত আর নেই, নেই ঘন কুয়াশা বা বাইরে হিমেল হাওয়া। ইতোমধ্যেই দিনের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করছে। যে কারণে দিনের বেলায় গরমের অনুভুতি শুরু হয়েছে। তাই যেন নগরবাসীকে এখন আর দিনের বেলায় মোটা পোশাকে বাইরে বের হতে দেখা যাচ্ছে না। বিপরীতে বিভিন্ন বাসা-বাড়ী, অফিস আলাদত, হোটেল-রে¯েঁÍারাতে ফ্যান ও এসি চালিয়ে বসতে দেখা যাচ্ছে নগরবাসীকে। খুলনা আবহাওয়া অফিস বলছে, বর্তমানে সূর্য কিরণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দিনের সর্ব্বোচ তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই কারনেই দিনের বেলায় গরম অনুভুত হয়ে থাকে। এছাড়া সন্ধ্যার পর যখন সূর্যের কিরণ না থাকায় তাপমাত্রা থাকে না তখন সন্ধ্যা হতে ভোররাত পর্যন্ত কিছুটা ঠান্ডা অনুভুত হয়ে থাকে। এই ঠান্ডা আরো ১০/১৫ দিন অব্যহত থাকতে পারে। তারপর আস্তে আস্তে সম্পূর্নরুপে শীত বিদায় নিবে।
নগর ও নগরের স্থানীয় পাড়া-মহল্লা গুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, শীতের তীব্রতা না থাকায় নগরবাসী শীতের পোশাক ছেড়ে স্বাভাবিক পোশাকে চলাচল শুরু করেছে। কয়েকদিনে আগের মতো শীতের ভারী পোশাক নিয়ে এখন আর কেউ বাইরে চলাচল করছেনা। রোদের প্রখরতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে ইতোমধ্যেই দিনের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করছে। যে কারণে দিনের বেলায় গরমের অনুভুতি শুরু হয়েছে। বিভিন্ন কর্মস্থলে শুরু হয়েছে ফ্যান ও এসির ব্যবহারও। মাঘ মাসের শেষাংশ চললেও শীতের বিদায়ী ঘন্টা বাজতে চলেছে। ভ্রাম্যমান সবজি বিক্রেতা সবুর জানান, শীতের মধ্যে ভ্যানে করে ভোরে সবজি কিনে বাড়ী বাড়ী বিক্রি করতে গিয়ে বেশ কষ্ট হয়েছে। তবুও জীবন-জীবিকার তাগিদে বিক্রি করেছি, আবার এখন বাইরে বেশ গরম পড়তে শুরু করছে, বেশ গরম লাগছে। খুচরা ফল বিক্রেতা রাসেল আকন্দ জানান, রেললাইনের পাশে খোলা জায়গায় বসে ফল বিক্রি করে। রোদ বর্ষা দু’য়ে বেশ কষ্ট হয়। শীতের সময় বেশ ভালো থাকি। শীত তো শেষ। গরম পড়তে শুরু করেছে। বাইরে রোদের বেশ তেজ। তেমন শীত নেই। গরম আসতে না আসতেই মাথার উপর ছাতা টাঙিয়ে বসে ফল বিক্রি করতে শুরু করেছে। রিক্সা চালক পলাশ জানান, ভারী শীত পড়লে বাতাসে রিক্সা চালাতে কষ্ট হয়। তবে শীতের সময় গা ঘামে না। রিক্সা চালাতে তেমন একটা কষ্ট হয় না, তবে ইতোমধ্যে গরম পড়তে শুরু করেছে। গরমের মধ্যে রিক্সা চালাতে দারুন কষ্ট হয়, সামনে তো আরো কষ্টের দিন আসছে। খুলনা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ জানান, বর্তমানে সূর্য কিরণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দিনের সর্ব্বোচ তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই কারনেই দিনের বেলায় গরমের অনুভুত হয়ে থাকে। এছাড়া সন্ধ্যার পর যখন সূর্যের কিরণ থাকে না তখন সন্ধ্যা হতে ভোররাত পর্যন্ত কিছুটা ঠান্ডা অনুভুত হয়ে থাকে। এই ঠান্ডা আরো ১০/১৫ দিন অব্যহত থাকতে পারে। তারপর আস্তে আস্তে সম্পূর্নরুপে শীত বিদায় নিবে।