ছেঁড়া ফাটা নতুন নোট বেচা কেনা করে চলে যাদের জীবিকা

শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ ছেঁড়া ফাটা আর নতুন নোট বিনিময় করে চলে যাদের জীবন জীবিকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে টেবিলের উপর চক চকে নতুন টাকার নোটের বান্ডিল। আর তার পাশে ছেঁড়া সাদা টেপ দিয়ে চলে টাকা ক্রয়-বিক্রয় । এই সামান্য উপার্জন দিয়ে চলে তাদের জীবন জীবিকা । তবে এখন শীত মৌসূমে আর তেমনটি উপার্জন হচ্ছেনা। ঈদকে সামনে রেখে একটু ভালো বেচা কেনা হলেও এখন শুধু ছেঁড়াফাটা টাকা ক্রয় করে কিছু উপার্জন হয়। সারাদিন যা সামান্য উপার্জন হচ্ছে এই অর্থ দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম পোহাতে হয়। কথা হয় ছেড়া ও নতুন নোট টাকার ব্যাবসায়ি অমির সাথে। তিনি বলেন, ঈদ সামনে রেখে নতুন টাকার ব্যবসা হয়। আর বাকি সময়ে তেমন একটা নতুন টাকা বিক্রি হয়না। তবে যদি কোন মানুষ শখের বশতঃ নতুন টাকা ক্রয় করে। তা আবার কোন দিন বিক্রি হয় আবার কোনদিন বিক্রি হয়না। এখানে নতুন নোট গুলো ১০ টাকার নতুন নোট একশটি বিক্রি ২০০ টাকায়। ২০ টাকার নতুন নোট বিক্রি করি পঞ্চাশটি ১০০টাকায় পঞ্চাশ টাকার নোট বিক্রি করি পাঁচ হাজার টাকা ২৫০ টাকায় এবং ১০০ টাকার নোট বিক্রি করি দশ হাজার টাকা ১৫০ টাকা কমিশনে। এছাড়া ছেঁড়া টাকা বাট্রা দিয়ে একটু কেনা বেচা হয়। তবে আগুনে পোড়া বা এক পাশে পোড়া ফুটো টাকা চলেনা। এর উপর দিয়ে চলে সংসার তবে এখন তা অনেকটা কমে গেছে। এ বিষয়ে কথা ছেঁড়া টাকা দিয়ে সচল টাকা বিনিময় করতে আসা মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের সাথে তিনি বলেন, আমার ছোট নাতি টাকা হাতে নিয়ে টেনে ছিঁড়ে দিয়েছে। দুই খন্ড হয়েগেছে।এখন এই টাকা আর টেপ দিয়ে জোড়াতালি দিলেও কেউ আর বিনিময় করতে চাচ্ছেনা। সকলে বলছে এই টাকা চলবেনা। যেকারণে শেষ ভরসা হিসেবে ব্যাংক অথবা এই ভাইয়েরা যারা টাকা বিনিময় করছে তাদের কাছে এসেছি। অনেকে বলছে পাঁচশত টাকার জন্য দিবে তিনশত আসি টাকা। যা হোক এখন কিছু করার নেই। আমিতো ভেবেছিলাম এই টুকরা আর ছেড়া টাকা হয়তো আর চলবেনা বাজারে। এখান থেকে আমার কিছু টাকা বাট্রা গেলেও সমস্যা নেই।