সোনালী জুট মিলের উৎপাদনে যেতে সাবেক সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে বাধা প্রদানের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার : খুলনার মিরেরডাঙ্গা শিল্প এলাকার সোনালী জুট মিল পুনরায় উৎপাদনে যেতে বাধা প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে সাবেক সিবিএ নেতা নজরুল, হুমায়ুন কবির ও বারেক এর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন সোনালী জুট মিলের প্রধান সমন্বয়ক এম নাজমুল হুদা, তিনি জানান এ সকল সিবিএ নেতারা সরকারের ভাবমুর্তিক্ষুন্ন করতে মিলটি যাতে উৎপাদনে যেতে না পারে সেজন্য বিভিন্নভাবে মিলের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও সাধারন শ্রমিকদেরকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আজ শনিবার সকাল থেকে মিলের মেইনটেইন্স শুরু হওয়ার কথা রয়েছে, মিল কতৃপক্ষের নতুন করে কামরুজ্জামান মিঠুর সাথে চুক্তিও হয়েছে সে অনুযায়ি তিনি মিলের বিদুৎ বিলও পরিশোধও করেছেন। অথচ সাবেক সিবিএ নেতার ভাগ্নি জামাই মাসুদ সহ লিটন রুমি গত ২৪ জানুয়ারী শ্রমিকদের ২ সপ্তাহের বিল এবং বিদুৎ বিল বাকি রেখে রাতের আধারে পালিয়ে যায়, পরবর্তিতে এ নিয়ে তিব্র শ্রমিক অসন্তোষ হলে স্থানিয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মুকুল মালিকপক্ষের সাথে আলোচনা করে ১ সপ্তাহের মুজুরী পরিশোধ করার ব্যবস্থা করেন। মিলের প্রায় ১২ লাখ টাকা বিদুৎবিল ও শ্রমিকদের ১ সপ্তাহের মুজুরী পাওনা রয়েছে মাসুদ , লিটন ও রুমি নিকট এরা প্রায় ৫ মাস মিলটি ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছিলো । এ বিষয়ে খুলনা বিভাগীয় শ্রম পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন যদি কেউ হুমকি দিয়ে থাকে সেটা ফৌজদারি অপরাধ, আর মিল চললে শ্রমিক কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে শ্রম অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মিল চালুর জন্য সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে বলেও তিনি জানান। সোনালী জুট মিলের প্রধান সমন্বয়ক এম নাজমুল হুদা আরো বলেন মিল চালু করতে যদি কোন শ্রমিক নেতা ব্যক্তি তার ব্যক্তিসার্থ হাসিলের জন্য বাধাপ্রদান করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। মিলের সাবেক সিবিএ সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন আমরা চাই শ্রমিক কাজ করে খাক কিন্তু একটা প্রতিষ্ঠান দেওলিয়া হয়ে গেছে আমাদের কে কোন চুক্তি দেখানো হয়নি স্থানিয় কাউন্সিলর সহ সকলের সাথে কথা হয়েছে নতুন করে যদি কারো সাথে চুক্তি হয় সেটা আমাদেরকে সাথে নিয়ে করতে হবে তা না করে শ্রমিক ঠকানোর জন্য কারো সাথে আলোচন না করে মিলের উৎপাদিত পন্য এর দাম ধরে নিয়ে চুক্তি করেছে যেটা আমাদের কারোর সাথে আলাপ করেনি আমরা মনে করি এটা শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী ।