ছুটির দিনে খুলনার বই মেলায় দর্শকদের উপচে পড়া ভীড় : ছোটদের বই বিক্রির শীর্ষে

স্টাফ রিপোর্টারঃ অতিক্রান্ত হলো একুশে বইমেলা, খুলনার ৯ম দিন । সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় মেলা প্রাঙ্গণে ক্রেতা দর্শকদের ঢল নেমেছিল। বইয়ের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যায়। বিকালে বইমেলার মঞ্চে সাংস্কৃতিক আয়োজনে ছিল সরকারি ইকবালনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খুলনার ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিকাল সাড়ে ৪ টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ছিল সাহিত্য সংগঠন ‘ ধ্রুবতারা ’ এর কবি ও বাচিক শিল্পীবৃন্দের পরিবেশনা, প্রবন্ধ পাঠ এবং আলোচনা অনুষ্ঠান। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে‘ ব্যতিক্রম সাংস্কৃতিক একাডেমী’র শিল্পীবৃন্দ। মেলায় আগত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দর্শক শ্রোতা মেলামঞ্চের সাংস্কৃতিক আয়োজন উপভোগ করে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন তাসনিম তাবাসসুম ও রাসেল শেখ। একুশের আলো খুলনার প্রধান নির্বাহী মাহাবুবুল হক বলেন, তার স্টলে নাম মাত্র মূল্যে রক্তের শ্রেণী নির্ণয় করা হচ্ছে। এ জন্য রাখা হচ্ছে ১৫ টাকা। ছুটির দিনে মেলায় অনেক ভীড় হয়েছে। নানা শ্রেনী পেশার মানুষ মেলায় এসেছে। মেলা বেশ জমজমাট হয়েছে বলে জানান বিশিষ্ট কবি হুসাইন বিল্লাহ। তিনি বলেন, মূল মঞ্চে বিকেলে ২৬টি স্কুল ধারাবাহিকভাবে তাদের অনুষ্ঠান করে থাকে। এছাড়া সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর চাপ খুবই বেশী। প্রথমে ৭৪টি সংগঠনের তালিকা করা হয়। এখন আরো ৮টি সংগঠন যোগ হয়েছে। মেলার পরিবেশ দেখে খুশি কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোসাম্মদ তাসলিমা খাতুন। তিনি স্ব পরিবারে মেলায় এসেছেন। সহ¯্রাধীক টাকার বই ক্রয় করেছেন ছেলে মেয়েদের জন্য। এর মধ্যে হুমায়ুন আহমেদ, জাফর ইকবালসহ নানা লেখকের বই। পুলিশ সুপার, সদস্য পদোন্নতি পাওয়া অতিরিক্ত ডিআইজি কবি সুশান্ত সরকারের লেখা কবিতার বই পাওয়া যাচ্ছে মেলার বিভিন্ন স্টলে। তার বইয়ের নাম দিয়েছেন শব্দ মায়া। তিনি সামাজিক মূল্যবোধ, দেশ প্রেম, হাসি কানানসহ নানা বিষয় নিয়ে মোট ৯৬টি কবিতা নিয়ে তিনি এই কাব্যগ্রন্থ রচনা করেছেন। তিনি এখনও মোড়ক উন্মোচন করেননি। শিগগিরই মোড়ক উন্মোচন করে স্টলে স্টলে বই দিবেন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। ঠাকুরগায়ে বাড়ি সাদামাঠা জীবন যাপন তার পছন্দ। আসফিয়া বুক ডিপো স্টলের প্রতিনিধি কেএম তুহিন বাবু বলেন, ছুটির দিনে দর্শক সমাগম প্রচুর হয়েছে। এতে করে বিক্রি বেড়েছে। পরিবেশও খুব ভাল। মধ্য বয়সী ক্রেতা বেশী বলে তিনি জানান। বুক পয়েন্ট স্টলের প্রতিনিধি আল আমিন জানান, দর্শক সমাগম প্রচুর হয়েছে। কিন্তু বেচাবিক্রি তেমনটি বাড়েনি। যে দর্শক এসেছে তিন ভাগের এক ভাগ দর্শক যদি বই কিনতো তাহলে স্টলে বই থাকার কথা নয়। তিনি বলেন, ধর্মীয় ও ছোটদের বই বেশী বিক্রি হচ্ছে। গার্ডিয়ান পাবলিকেশন স্টলের প্রতিনিধি মুনতাসির মামুন বলেন, তার স্টলে সবচেয়ে বেশী বিক্রি হচ্ছে প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ নামক বইটি। এছাড়া ভাল বিক্রি হচ্ছে বি স্মার্ট উইথ মুহাম্মদ (সাঃ), বন্ধন, মুসলিম চরিত্র, প্রোডাক্টিভ মুসলিম, সিক্রেটস অব জায়োনিজম, মাআলা মোস্তফা, ম্যাসেজ, প্রকৃত আলিমের সন্ধানে, আহবানসহ কয়েকটি বই। বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার, খুলনা উপপরিচালক মোহাম্মদ হামিদুর রহমান জানান, মেলা জমে উঠেছে। ছুটির দিনে মেলা কানায় কানায় পরিপূর্ন ছিল। নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা বাড়ানো হয়েছে। রয়েছে ভ্রাম্যামান টয়লেট।