সোনালী জুট মিল হাত বদল হলেও শ্রমিকদের ভাগ্য বদল হয়না

চুক্তিতে মিল পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে চলে লুটপাট
ভাগ্যের পরিবর্তন হয় অসাধু কর্মকর্তা ও নেতাদের, বকেয়া পাওনার দাবীতে চলছে শ্রমিকদের অবস্থান ধর্মঘট
খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি ঃ নগরীর মীরেরডাঙ্গা শিল্পাঞ্চলের এক সময়ের ঐতিহ্যবাহী সোনালী জুট মিলের ঐতিহ্য বিলত হয়ে ধ্বংশের দারপ্রাপ্তে এসে দাড়িয়েছে। মিলের প্রকৃত মালিক মারা যাওয়ার পর থেকে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলা মিলটিতে চলছে লুটপাট। চুক্তিতে মিলটির দায়িত্ব নিয়ে মিলের অসাধু কর্মকর্তা এবং এক শ্রেনীর নেতাদেও হাত করে মিলের মেশিনসহ যন্ত্রাংশ বিক্রি করে চালায় লুটপাট। মিল চালুর কথা বলে শ্রমিকদের ভাগ্য উন্নয়নে ধোয়া তুলে মিলটি গত কয়েক বছর ৬/৭ বার হাত বদল হলেও শ্রমিকদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি। ভাগ্য খুলেছে চুক্তিতে মিল পরিচালনার দায়িত্বে আসা ব্যক্তি, মালিক পক্ষের কতিপয় অসাদু কর্মকর্তা এবং এক শ্রেনীর নেতাদের এমনটাই অভিযোগ মিলের শ্রমিক-কর্মচারীদের। তাদের দাবী মিল চালানোর কথা বলে চুক্তিতে যারাই মিল পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে তারাই মিল থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা মালামলা গোপনে বিক্রি করে দিয়ে মিলটিকে ধ্বংশ করে দিয়েছে। অভিযোগের তীর মিলের প্রশাসনিক এক কর্মকর্তা এবং বছরের পর বছর এডহক কমিটিতে থাকা কিছু নেতার বিরুদ্ধে। মিলের শ্রমিক-কর্মচারীরা তাদের বকেয়া পাওনা পরিশোধের আশায় এবং মিলটি চালু থাকলে পরিবার পরিজন নিয়ে দুমুটো খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে পারবে এমনটাই ভেবে কর্তৃপক্ষের সকল সিদ্ধান্ত মেনে নেয়। সর্বশেষ মিলের চুক্তি ভিত্তিকে পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েও মিলটি চালাতে এবং শ্রমিকদের মুজুরী দিতে ব্যার্থ হয়ে পালিয়ে গেছে চুক্তিকারী প্রতিষ্ঠান। পরবর্তি মিঠু নামের এক ব্যাক্তির সাথে গোপন চুক্তিতে মিলটির পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হলে শ্রমিকদের মাঝে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। শ্িরমকরা তাদের বকেয়া মুজুরী, গোপন চুক্তি শ্রমিক কর্মচারীদের মাঝে প্রকাশ করা এবং মিলটি পরিচালনার জন্য গৃহীত পরিকল্পনা শ্রমিকদের সামনে তুলে ধরার দাবীতে মিলের কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীরা আন্দোলন শুরু করেছে। দাবী আদায়ে তারা প্রতিদিন সকাল ৬ টা থেকে সকাল ১১টায় পর্যন্ত মিলের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছে। অবস্থান ধর্মঘটকারীদের দাবী মালিকের দেওয়া ভাড়াটিয়া মালিকরা মিলের দায়িত্ব নিয়ে শ্রমিকদের মজুরি বাকি ফেলে লুটপাট করে পালিয়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় মাসুদ -রুমি-লিটন মিলের পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে মিল চালাতে না পেরে লুটপাট করে শ্রমিকদের দুই সপ্তাহের মুজুরী না দিয়ে পালিয়ে যায়। এর আগের ভাড়াটিয়া মালিক ৬ সপ্তাহ বিল এবং মসিক বেতন রেখে পালিয়ে যায়। এঅবস্থায় মালিক পক্ষ কিছু অসাধু নেত্রীবৃন্দর সহায়তায় মালিক মিলের কোটি কোটি টাকার মেশিনপত্র বিক্রি করে দেয়। দাবী আদায়ে মিলের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসুচিতে সভাপতিত্ব করেন সোনালী জুট মিলের সাবেক সাধারন সম্পাদক নাজিউর রহমান নজরুল। বক্তব্য রাখে সাবেক সভাপতি কবির হোসেন, সাবেক সভাপতি সিরাজুল হক মুন্সি, আব্দুল বারেক হাওলাদার, আঃ হাকিম, মোঃ ফারুক হোসনে, আঃ আউয়াল, আবদান ঢালী, হারেজ আহম্মেদ, আবুল কালাম, মোঃ ফারুক চোকদার, মোঃ নাসির উদ্দিন, আঃ রহিম, মোঃ আজিজ প্রমূখ।