সুনির্দিষ্ট অভিযোগে নগরীতে ভেজাল বিরোধী অভিযানে আট হাজার টাকা জরিমানা

ছদ্মবেশে অনিয়মের তথ্য প্রমাণ সংগ্রহে কেসিসি
স্টাফ রিপোর্টারঃ ছদ্ম বেশে অনিয়মের প্রমাণ সংগ্রহ, অনিয়ম না করার জন্য একাধিকবার তাগিদ দেয়া, অনিয়মের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সাপেক্ষে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) পাঁচ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে প্রায় আট হাজার টাকা জরিমানা করেছে। একই সাথে ফুটপাত দখল মুক্ত, সড়কে ফেলা ময়লা পরিস্কার করিয়ে নেয়াসহ নানা ইতিবাচক কার্যক্রম করেছে কেসিসির ভেটেরিনারি (ভিএস) দপ্তরের ভেজাল বিরোধী টিম। বুধবার সকালে নগরীর বিভিন্ন স্থানে কেসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল আফরোজ স্বর্ণার নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। নগরীর সাউথ সেন্ট্রল রোডে খাদ্য ব্যবসায়ী কর্তৃক ফুটপাত দখল, পঁচা-বাশি খাবার বিক্রি, টয়লেটের সামনে খাবার রাখা, টয়লেটে সাবান না রাখা ও প্রিমিসেস লাইসেন্স না থাকায় সাউথ সেন্ট্রাল রোডের হান্ডি এন্ড কাচ্চি রেস্টুরেন্টের মালিক রফিকুল ইসলামকে নগদ ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ৬টি অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগগুলো হলো- ট্রেড ও প্রিমিসেস লাইসেন্স নবায়ন না করা, বাথ রুমে সাবান ব্যবহার না করা, পঁচা বাশি বিরানী বিক্রি করা, ফুটপাত দখল, ধোয়াচ্ছন্ন পরিবেশে সৃষ্টি করে পথচারির পথ চলায় ব্যঘাত সৃষ্টি করা ও বাথ রুমের দরজার সামনে খাবার স্তুপ করে রাখা। নগরীর হাজী মুহসিন রোডের নয়া কাচ্চি ঘরের মালিক মিসেস ফাতেমাকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তার বিরুদ্ধে ছয়টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগগুলো হচ্ছে-ফুটপাত দখল করে পথচারির পথ চলতে বাধা প্রদান, ফ্রিজে এক সাথে ময়দার খামির, মাছ ও মাংস রাখা। কর্মচারির হাতে বড় বড় নখ, ট্রেড ও প্রিমিসেস লাইসেন্স না করা, খোলা অবস্থায় ময়লার স্তুপ করে রাখা। নগরীর ফুটপাত দখল করে মাংস বিক্রি করার অপরাধে ময়লাপোতা মোড়ের মাংস ব্যবসায়ী রাজুকে ১ হাজার টাকা, খুলনা মডেল স্কুলের পাশে এক মুদি দোকান দারকে সিগারেট বিক্রি করার অপরাধে ৫শ’ টাকা এবং অল্প বয়স্ক একজন ছাত্র জনসম্মুখে সিগারেট খাওয়ার জন্য তাকে ২শ’ টাকা জরিমানা করা হয়। বুধবারে অনুষ্ঠিত জেলা আইন শৃংখলা সভায় নগরীর ময়লাপোতা মোড়ে ফুটপাত দখল করে মাংস বিক্রির অভিযোগ করা হয়। এ খবরটি কেসিসির মোবাইল টিমকে অবগত করলে তারা তাৎক্ষণিক ময়লাপোতা গিয়ে ফুটপাত দখলের দায়ে মাংস বিক্রেতা রাজুকে জরিমানা করে। অভিযোনে অংশ নেন কেসিসির ভেটেরিনারি অফিসার ড. পেরু গোপাল বিশ্বাস, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর নবজিৎ বাইন, প্রেমিসেস লাইসেন্স পরিদর্শক স,ম আকমল হোসেন, মোল্লা জিল্লুর রহমান, মো: আব্দুল জলিল, মো: শাহজাহান এবং খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি দল।