স্থানীয় সংবাদ

খালিশপুরে সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ চলছে দ্রুতগতিতে

সড়ক ও ড্রেনের কাজে নির্মাণ ব্যয় ৫৩ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা
স্বস্তি ফিরছে খালিশপুর বিআইডিসি সড়ক ও আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থায়

মোঃ আশিকুর রহমান ঃ দূর্ভোগের দিন যেন শেষ হতে চলেছে, স্বস্তি ফিরছে খুলনা শিল্পাঞ্চল খ্যাত নগরীর খালিশপুরস্থ প্রথম অংশ খালিশপুর কদমতলা থেকে পাওয়ার হাউজ পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় অংশ পাওয়ার হাউজ হতে নতুনরাস্তা পর্যন্ত সড়ক ও আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থার। ৫৩ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণকৃত সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। আধুনিক খুলনা গড়ার রুপকার, খুলনা সিটি কর্পোশনের সুযোগ্য মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেকের হস্তক্ষেপে অবশেষে খুলনা শিল্পাঞ্চল খ্যাত নগরীর খালিশপুর বিআরডিসি রোডসহ আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থার নির্মাণকৃত অগ্রতির কাজ এখন বাস্তবে দৃশ্যমান। নগরীর এই গুরুত্বপূর্ন সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা দীর্ঘদিন অবহেলা আর অনাদরে পড়ে থাকার পর সড়কটির নির্মান কাজ ও আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা চলমান হওয়াতে স্বস্তি ফিরে আসাতে অত্যন্ত খুশি গুরুত্বপূর্ন সড়কটি দিয়ে ছুটে চলা ছোট-বড় যানবাহনের চালকেরা, শিক্ষার্থী, পথচারীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা। কেসিসি’র সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খালিশপুরের দুটি অংশের নতুন সড়কের কাজ চলমান এবং ড্রেনের কাজ প্রায় শেষের দিকে। উপ-সহকারী প্রকৌশলী অনুপম চক্রবর্তী জানান, প্রথম অংশ খালিশপুর কদমতলা থেকে পাওয়ার হাউজ পর্যন্ত সড়ক নির্মানে ১৭ কোটি, ১২ লক্ষ টাকা এবং ড্রেন নির্মানে ৯ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা ব্যয় হচ্ছে। বর্তমানে সড়টিতে কাপেটিংয়ের কাজ চলমান, যা গত তিন দিন ধরে শুরু হয়েছে। প্রথম গ্রুপের লেন ২ কিঃ ৮০০ মিটার কাপেটিং ২/৩ দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। অর্থ্যাৎ ৪ ভাগের ১ ভাগ শেষ হয়ে যাবে। কাপেটিং লেয়ারটাই সার্ভেসিং লেয়ার। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৫/২০ দিনের মধ্যে ৯৫% কাজে সম্পূর্ন শেষ হয়ে যাবে বলে আশাবাদী। এছাড়া ড্রেনের কাজ ৯৯% সম্পূর্ন হয়েছে, কেবলমাত্র গ্লেজি লেয়ারের কাজ বাকী রয়েছে। অপরদিকে দ্বিতীয় অংশ পাওয়ার হাউজ হতে নতুনরাস্তা পর্যন্ত সড়ক ও আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থারও চলমান রয়েছে। সড়ক নির্মানে ১৬ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা এবং ড্রেন নির্মানে ৯ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা ব্যয় হচ্ছে। উপ-সহকারী প্রকৌশলী এফ এম ফয়সাল জানান, বর্তমানে দ্বিতীয় অংশ পাওয়ার হাউজ হতে নতুনরাস্তা পর্যন্ত সড়ক ও আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থারও চলমান রয়েছে। সড়কের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য রাস্তার মাঝে ডিভাইডার ও ম্যাকডামের কাজ চলমান, কাজের অগ্রগতি ৮০%। এছাড়া ড্রেনের কাজও ৮০% শেষ হয়েছে, কার্পেটিং শুরু হলে ড্রেনের শতভাগ কাজ শেষ হবে বলে জানান তিনি। নতুন রাস্তা মোড়ের ওষুধ বিক্রেতা মোর্ত্তজা জানান, আমরা খুবই খুশি দেরিতে হলেও আমাদের এই সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজটি সম্পর্ন হতে চলেছে। বিগত দিনে সড়কের মাঝে বিশাল বিশাল গর্ত, আর খানাখন্দ ছিল। দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশায় পড়ে থাকার কারনে এই সড়ক দিয়ে জনসাধারণের প্রতিদিনের চলাচলে দারুন দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে কিন্তু বেহাল সড়কটিতে কেসিসির উদ্যোগে নতুন সংস্কার শুরু হয়েছে। যার ফলে ব্যবসায়ীরাসহ সাধারন পথচারীরা ওই রাস্তা নির্মাণে দারুন উপকৃত হবে, তাছাড়া আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার কারনে সামান্য বৃষ্টি হলেই যে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো, সেই সমস্যা আর থাকবে না। ইজিবাইক চালক সোহান জানান, খালিশপুর রুটে প্রতিদিনই সকাল হতে রাত পর্যন্ত যাত্রী টানি। কিছুদিন আগেও বিআইডিসি রোডের যে অবস্থা ছিল, তাতে চলাচলের কোনো উপায় নেই। সড়কটির খানাখন্দে বেহাল দশায় থাকায় প্রতিদিনই শতাধিক ইজিবাইক, ছোট-বড় মাঝারী যানবহন চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতো। কেসিসি নতুন করে যে রাস্তা ও ড্রেন নির্মান করছে এতে চরম উপৃকত হবো আমরা। কেসিসি’র প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান জানান, প্রথম অংশ খালিশপুর কদমতলা থেকে পাওয়ার হাউজ পর্যন্ত সড়কে কাপেটিংয়ের কাজ চলমান, কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক। এছাড়া ড্রেনের কাজও প্রায় শেষের দিকে। দ্বিতীয় অংশ পাওয়ার হাউজ হতে নতুনরাস্তা পর্যন্ত সড়ক ও আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থারও চলমান রয়েছে। এ অংশে রোড ডিভাইডার ও ম্যাকডামের কাজ চলমান। কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক। ড্রেনের কাজও প্রায় শেষের দিকে। প্রকল্পটিতে সড়ক ও আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থার নির্মান কাজে মোট ব্যয় হচ্ছে ৫৩ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button