কেএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের বিশেষ অভিযান অব্যহত

১৪শ’৬২টি মামলায় ১৪লাখ টাকা জরিমানা, সড়কে কমছে ব্যাটারিচালিত রিক্সা-ভ্যান ইজিবাইকের দাপট
শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের বিশেষ অভিযানে নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও অবৈধ তিন চাকার যানবাহন। এদিকে গেল ১ মাসের ট্রাফিক বিভাগের অভিযানে মোট ১৪শ ৬২টি মামলা রুজু করা হয়েছে। পাশাপাশি জরিমানা আদায় করা হয়েছে ১৪ লাখ ২৫ হাজার ৫শ টাকার মত । এদিকে কেএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা খুলনা নগরীতে বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোষ্ট বসিয়ে নিয়মিত যানবহনের কাগজপত্র তল্লাশি, অবৈধ মোটরযান জব্দসহ ছোট-বড় দুর্ঘটনা প্রতিরোধ এসছে বলে মনে করছেন নগরবাসী। এছাড়া বেপরোয় গতির বাইক গুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা, হাইড্রোলিক হর্ণ অপসারণ করছে বলে জানিয়েছে খুলনা ট্রাফিক বিভাগ। এছাড়া কেএমপি’র সূত্রে জানা যায় যে সম্প্রতি গেল দশ দিনের অভিযানে ইঞ্জিন ট্রলি ২টি, নছিমন ৫টি, ব্যাটারিচালিত ভ্যান ২৩টি, ব্যাটারিচালিত রিক্সা ২টিবাস, ১টি, ট্রাক ১টি, প্রাইভেটকার ১টি, মাহেন্দ্র ১টি, মোটরসাইকেল ১৭টিসহ মোট ৯৩টি মোটরযানসহ অন্যান্য যানবাহন জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি জব্দ করা হয়েছে ৬টি হাইড্রোলিক হর্ণ। এদিকে খুলনা নগরীতে এসব কাগজপত্রহীন ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিক্সা-ভ্যানের নিয়ন্ত্রণ থাকায় সড়কে বেশ শৃঙ্খলা ফিরে এসছে বলে মনে করেন, শ্রমিক সংগঠনের নেতা মোঃ খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, খুলনার মত ছোট নগরীতে সড়কে হাজার হাজার যানবহন। খুলনা সিটি কর্পোরেশন মাত্র ৮ হাজারের মত ইজিবাইকের লাইসেন্স দিয়েছে । তবে সড়কে যানবাহন চলাচল করে এর থেকে কয়েক গুণ বেশি। পাশাপাশি রয়েছে ব্যাটারিচালিত রিক্সা, ভ্যান। পায়ে ভর দিয়ে প্যাডেল মারা লাগেনা রিক্সা-ভ্যানে এতে করে সড়কে বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে এসব তিন চাকার যানবহন। এছাড়াও শহরের প্রায় প্রতিটি মোড়ে মোড়ে অবৈধ পার্কিং, যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা, লোকজন উল্টো পথে চলা, রুট পারমিটবিহীন ও ফিটনেসবিহীন বাস গাড়ি চলাচল করার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে মারাত্মক জানযট। আর সব থেকে বড় বিষয় যারা শারীরিকভাবে সক্ষম পায়ে প্যাডেল দিয়ে রিক্সা-ভ্যান চালকরা। এখন সেসব চালকেরাও ব্যাটারি চালিত রিক্সা চালিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নগরী। তবে শারীরিকভাবে অক্ষম বা প্রতিবন্ধি আছেন যারা তাদের ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া যেতে পারে। মূলতঃ তারা ভিক্ষা না করে কাজ করছে এসব মানবিক বিষয় বিবোচনা করে। এছাড়া ইজিবাইক, মাহেন্দ্র-আতুল গাড়ী গুলো চলাচল করে বেপোরয়া গতিতে। এবিষয়ে আরও নজরদারি করা উচিত সংশ্লিষ্ট বিভাগের। আমি মনে করি আগামী দিনেও যেন এমন কার্যক্রম চলমান রাখে কেএমপি। এ বিষয়ে কেএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের (ডিসি) মনিরা সুলতানা বলেন, কেএমপি’র কমিশনার মো: মোজাম্মেল হক স্যারের নির্দেশনায় কেএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ আরও বেশি কঠোর অবস্থানে। বিশেষ করে অবৈধ লাইসেন্সবিহীন যানবাহন ও ব্যাটারি চালিত রিক্সাগুলো সড়কে চলাচল বন্ধ করতে। ইতোমধ্যে সড়কে ব্যাটারি চালিত রিক্সা-ভ্যান চলাচল অনেকটা বন্ধ হয়ছে। আমরা সার্বক্ষনিক নজরদারিতে আছি। এমন কার্যক্রম চলমান থাকবে।