ভাষা শহীদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত শহীদ মিনার!

খুলনার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলছে প্রস্তুতির কার্যক্রম

মোঃ আশিকুর রহমান ঃ যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা, শহীদ দিবস পালনের জন্য ভাষা শহীদরে প্রতি বিনম্্র শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রস্তুতি চলছে খুলনার হাদিস পার্কের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ নগরীর স্থানীয় এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনারও। শহীদদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা জানাতে শেষ মুহুর্তে শহীদ মিনারের মূল বেদিসহ পুরো প্রাঙ্গণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, লাইটিংসহ সৌন্দর্যবর্ধন কাজ চলছে পুরাদমে। সৌন্দর্য বাড়াতে শহীদ মিনারসহ আশপাশের স্থানগুলোতে চলছে আল্পনার কাজ, ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বর্ণমালা দিয়েও। কেসিসি সূত্রে জানা গেছে, ২১শে ফেব্রুয়ারী আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদার উদ্যাপনের উদ্দেশে কেসিসির পক্ষ হতে খুলনা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আলোকসজ্জা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, ধোয়া-মোছা, শহীদ বেদীতে রং করা, বর্ণমালার ব্যবহারে সুসজ্জিত করা, আল্পনাসহ বহুবিধ প্রস্তুতি কাজ করা হচ্ছে শহীদ মিনারকে সুসজ্জিত করে তুলতে। একই সাথে নগরীর ফুলবাড়ীগেট শহীদ মিনার, দৌলতপুর বাসষ্ট্যান্ড শহীদ মিনার চত্ত্বরে আলোকসজ্জা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, ধোয়া-মোছা, রং করা করা, বিবিধ কাজ চলমান নির্ধানিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মহান আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস তথা শহীদ দিবস উপলক্ষ্য প্রথম প্রহরে খুলনার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদীতে ফুল দিয়ে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, শহীদ হাদিস পার্কে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পুরষ্কার বিতরনী, বই মেলায় সেমিনার ও আলোচনা, দোয়া মোনাজাতসহ নানা কর্মসূচি পালিত হবে। একই সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো প্রথম প্রহরে ফুল দিয়ে শহীদ শ্রদ্ধা জানাবেন। চলবে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি।
সাবেক কাউন্সিলর এসএম হুমায়ুন কবির জানান, মাতৃভাষার জন্য যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের কাছে আমরা চির ঋণী। সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষার প্রয়োগ করা উচিত বলে আমি মনে করি, কারণ বাংলা ভাষা আমাদের অহংকার, অলংঙ্কার। দৌলতপুর কলেজের অধ্যক্ষ এএসএম আনিসুর রহমান জানান, শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ইতোমধ্যে শহীদ মিনার প্রস্তুত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, ধোয়া-মোছা ও রংঙের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২১ শে ফেব্রুয়ারী উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রথম প্রহরে শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হবে। সকালে প্রভাত ফেরী, আলোচনা সভা, দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। দৌলতপুর সরকারি মুহসিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) শহিদুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার জানান, ইতোমধ্যে শহীদ মিনারের প্রস্তুতির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২১শে ফেব্রুয়ারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সমান্বয়ে প্রভাত ফেরী, কলো ব্যাচ ধারণ, আলোচনা সভা, বিভিন্ন প্রতিযোগীতা, দোয়া মোনাজাতসহ নানা কর্মসূচি পালিত হবে।
কেসিসি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মিঠু জানান, কেসিসির পক্ষ হতে খুলনা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আলোকসজ্জা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, ধোয়া-মোছা, শহীদ বেদীতে রং করা, বর্ণমালার ব্যবহারে সুসজ্জিত করা, আল্পনাসহ বহুবিধ কাজ করা হচ্ছে শহীদ মিনারকে সুসজ্জিত করে তুলতে। একই সাথে নগরীর ফুলবাড়ীগেট শহীদ মিনার, দৌলতপুর বাসষ্ট্যান্ড শহীদ মিনার চত্ত্বরে আলোকসজ্জা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, ধোয়া-মোছা, রং করা করা, বিবিধ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, রাখা হয়েছে বিদ্যুৎতের বিকল্প ব্যবস্থাও। খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, মহান আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস তথা শহীদ দিবস উপলক্ষ্য প্রথম প্রহরে খুলনার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদীতে ফুল দিয়ে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, শহীদ হাদিস পার্কে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পুরষ্কার বিতরনী, বই মেলায় সেমিনার ও আলোচনা, দোয়া মোনাজাতসহ নানা কর্মসূচি পালিত হবে।