পৃথক ২টি মামলা দায়েরে আসামী ৬ শতাধিক : গ্রেফতার ১২
মোল্লাহাটে হত্যা ও কর্তব্যরত পুলিশকে মারপিট
বাগেরহাট প্রতিনিধি ঃ বাগেরহাটের মোল্লাহাটে স্থানীয় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত ও কর্তব্যরত পুলিশ কে মারপিটের ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যে দুই গ্রুপের দুই প্রধানসহ মোট ১২ জন কে গ্রেফতার করেছে। বংশিয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রবিবার সন্ধ্যায় মোল্লাহাট উপজেলার উদয়পুর মোল্লারকুল এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে পান্না মোল্লা নামের একজন নিহত এবং সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রন করতে গিয়ে কর্তব্যরত ৬ পুলিশ আহত হন। এ ঘটনার পরের দিন সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নিহতের ছেলে মামুন মোল্লা বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৪০-৫০ অজ্ঞাতনামা আসামী দিয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ কে মারপিট করাসহ কর্তব্যকাজে বাধা দেয়ায় মোল্লাহাট থানার এসাঅই মাসুম বিল্লাহ বাদী হয়ে ৩৪ জনের নাম উল্লেখসহ ৪৫০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে অপর একটি মামলা দায়ের করেন। হত্যা মামলায় একটি গ্রুপের প্রধান মোল্লাকুল এলাকার শাহজাহান খাকি ও লতিফা বেগমসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর পুলিশ আহতের মামলায় কাজী গ্রুপের নেতা লায়েক কাজী ও খাকি গ্রুপের নেতা শাহজাহান কাজীসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অপরদিকে নিহত পান্না মোল্লার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার রাতে মোল্লারকুল এলাকায় দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ওই এলাকায় খোজ নিয়ে জানাগেছে এলাকায় এখনও থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। সংঘর্ষে ব্যবহৃত ইট ও লাঠিসোটা এখনও পড়ে রয়েছে ঘটনাস্থলে। আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। মোল্লাহাট থানার ওসি এস এম আশরাফুল আলম মঙ্গলবার সকালে বলেন, হত্যাকান্ড ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। দুই মামলায় দুই গ্রুপের প্রধানসহ ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে বাকী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উল্লেখ্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার মোল্লারকুল এলাকায় লায়েক কাজী ও শাহজাহান খাকি‘র গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে পান্না মোল্লা নামের এক দিন মজুর নিহত এবং কর্তব্যরত ৬ পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২৮ জন আহত হন। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপর বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিল। এর আগেও ২০২১ সালে একই এলাকায় কাজী ও খাকি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহতের ঘটনা ঘটেছিল। অভিযোগ উঠেছে প্রচলিত আইনের যথাযত প্রয়োগ না থাকায় আবারও সংঘর্ষ এবং একজন খুন হন। আর এবার সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রন করতে গিয়ে পুলিশ হামলার শিকার হয়েছে।