একুশের অনুপ্রেরণায় বাঙালি জাতি গণতান্ত্রিক ও ন্যায়ভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলো

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভায় সিটি মেয়র
স্টাফ রিপোর্টার : খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, একুশ আমাদের চেতনার বহ্নিশিখা। স্বাধীনতার মূল উৎস ও চেতনা ছিলো একুশ। একুশের অনুপ্রেরণায় বাঙালি জাতি গণতান্ত্রিক ও ন্যায়ভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলো। আর এ স্বপ্নের সারথী ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তারই নেতৃত্বে বাঙ্গালী জাতি বায়ান্নের একুশের প্রেরণায় ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুই বাংলা ভাষাকে প্রথম রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দান করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন, বাংলা ভাষা পৃথিবীর অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ভাষা হোক। বাংলা ভাষায় সংবিধান প্রণয়ন করেন বঙ্গবন্ধু। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রথম বাংলায় বক্তব্য দিয়ে বিশ্বসভায় বাংলাকে তুলে ধরেন। একুশে ফেব্রুয়ারী আজ দেশের গ-ি পেরিয়ে সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। আর উন্নতির এই সোপানে এগিয়ে যেতে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ যেমন প্রেরণা জোগায়, ঠিক একইভাবে প্রেরণা দেয় আমাদের ভাষা। কারণ আমরাই সেই জাতি, যারা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছি। তবে এখন ভাষার এবং বাঙালী সংস্কৃতির উপর চলছে নিরব ষড়যন্ত্র। আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করবে তাদের শক্তভাবে প্রতিহত করতে হবে।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে প্রভাত ফেরি শেষে দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময়ে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ মিজানুর রহমান মিজান, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা। মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালানয় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. রজব আলী সরদার, এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, শেখ মো. ফারুক আহমেদ, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, মো. শাহজাদা, কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, কাউন্সিলর আলী আকবর টিপু, শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, কামরুল ইসলাম বাবলু, হাফেজ মো. শামীম, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, শেখ নুর মোহাম্মদ, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ^াস, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান, এস এম আকিল উদ্দিন, মো. আব্দুল হাই পলাশ, চ ম মুজিবর রহমান, শেখ জাহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি আইয়ুব আলী, বাবুল সরদার বাদল, এ্যাড. ফারুক হোসেন শেখ, শেখ আবিদ উল্লাহ, জামিরুল হুদা জহর, কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার চালু, মো. ফায়েজুল ইসলাম টিটো, মীর মো. লিটন, মো. আজম খান, ইউসুফ আলী খান, তকদিরে এলাহী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব মিয়া, এ্যাড. সুলতানার রহমান শিল্পী, এ্যাড. এ কে এম শাহজাহান কচি, মো. সফিকুর রহমান পলাশ, এম এ নাসিম, অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুল, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, এ্যাড. শামীম আহমেদ পলাশ, শেখ নজিবুল ইসলাম নজিব, এ্যাড. রাবেয়া ওয়ালী করবী, আইরিন চৌধুরী নিপা, নাসরিন ইসলাম তন্দ্রা, প্যানেল মেয়র এ্যাড. মেমরী সুফিয়া রহমান শুনু, কাউন্সিলর আরিফ হোসেন মিঠু, কাউন্সিলর জিয়াউল আহসান টিটু, কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম প্রিন্স, কাউন্সিলর কণিকা সাহা, বাদশা হাওলাদার, মল্লিক নওশের আলী, জেসমিন সুলতানা শম্পা, নুর জাহান রুমি, নূরানী রহমান বিউটি, কবির পাঠান, ফেরদৌস আলম রিতা, শবনম মুস্তারী বানু, মেহজাবিন খান, শিউলি সেরেনিয়াবাত, দিপ্তী বিশ^াস, মাসুদ হাসান সোহান, ঝলক বিশ^াস, ইবনুল হাসান, মাহমুদুর রহমান রাজেস, ওমর কামালসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। আলোচনা সভার শুরুতেই সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দাড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এর আগে সকাল ৭ টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করণ, কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় দলীয় কার্যালয় হতে প্রভাত ফেরি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে শহীদ হাদিস পার্কে শ্রদ্ধা নিবেদন করে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।