স্থানীয় সংবাদ

শবেবরাত ঘিরে কবরস্থানে অনাকাঙ্খিত শিশু ভিক্ষুকদের ভিক্ষাবৃত্তি

শেখে ফেরদৌস রহমান ঃ পবিত্র শবেবরাত ঘিরে কবরাস্থানের দুই পাশে অপেক্ষায় থাকে হাজারো ভিক্ষুকরা। তবে এবার চোখে পড়ার মত ছিল শিশু ভিক্ষুকদের ভিক্ষাবৃত্তি। দেখা যায় মুসল্লিরা যখন তাদের স্বজনের কবর জিয়ারতের উদ্দ্যেশে কবরস্থানের দিক ছুটছেন। এমন সময়ে কবরস্থানের দুই পাশে অপেক্ষায় হাজারো ভিক্ষুকদের মেলা। এসব ভিক্ষুক যাদের মধ্যে রয়েছে প্রতিবন্ধি, বৃদ্ধ, মধ্যম বয়সিরা । তবে অবাক করার বিষয় একই সাথে ছোট ছোট ১০ থেকে ১২ বছরের শিশুরাও হাতে থালা নিয়ে ভিক্ষা করছে। এমনকি এসব ক্ষুদে ভিক্ষুকরা কবরস্থানে আগত মুসল্লিদের জড়িয়ে ধরছে আর বলছেন কিছু টাকা দেন ওষুধ কিনব। এ বিষয়ে বেশ কিছু শিশু ভিক্ষুক মোঃ রনি (৮) বলেন, আমার মায় অসুস্থ্য আমি মায়ের চিকিৎসা করব। যে কারণে ভিক্ষা করছি। এছাড়া তার সাথে বসে থাকা অন্য একজন শিশুর একই কথা তার মায়ের ওষুধ ক্রয় করতে টাকার প্রয়োজন। তবে এসব শিশুদের কথা কতটুক সত্য তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। প্রাথমিকভাবে মনে হয় এই দুই শিশু পাশাপাশি বসে ভিক্ষা করছে আর দুজন এর একই সুরে কথা। এর মানে কোন ব্যক্তি বিশেষ এর প্রশিক্ষণ দেয়া কথাবার্তা। এছাড়া এরা আপন দুই ভাইবোন। বড় বোন মিম’র বয়স হবে সর্বোচ্চ ১০ সে তার ছোট ভাইকে পাশে বসিয়ে ভিক্ষা করছে। তার পাশে থাকা ছোট ভাই ঘুমিয়ে গেলেও বসে থেকে ভিক্ষা করছে মিম আক্তার। তার একই কথা ঘরে বাবা অসুস্থ্য । এভাবে মুসল্লিদের কাছ থেকে হাত-জোড় করে ভিক্ষা দাবি করছে। এ বিষয়ে উপস্থিত মুসল্লি মোঃ আলম হোসেন বলেন, এভাবে এবছর গোয়ালখালী সরকারী কবরস্থানের সামনে এত বেশি ছোট শিশু বাচ্চাদের ভিক্ষা করতে দেখেনি। এতটুক ছোট বাচ্চারা যদি ভিক্ষা করে। আর এখন থেকে টাকা উপার্জন করে তাহলে এসব ছোট বাচ্চারা ভবিষ্যতের দিনগুলোতে কি করবে। তারা ছোট বয়স থেকে যদি ভিক্ষা করা শুরু করে। আর তাদের অভিভাকেরা কেন পাঠাবে ভিক্ষা করতে। এ বিষয়ে আমাদের সকলকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। এসব শিশুদের জন্য সরকারীভাবে পড়ালেখা বৃত্তির ব্যবস্থা আছে। পাশাপাশি অসুস্থ্য থাকলে চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে সরকারীভাবে। রয়েছে স্থানিয় জনপ্রতিনিধিরা। এসব ভিক্ষাবৃত্তি সামাজিক ব্যাধি। ছোট শিশুদের দিয়ে ভিক্ষা বৃত্তি করানো বন্ধ করতে হবে। আমরা সবাই দেখি যে এত বড় একটা অন্যায় হচ্ছে। তবে কেউ কোন প্রতিবাদ করতে পারিনা বা করার অযথা সময় নেই বলে আমরা এড়িয়ে যাই।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button