অভয়নগরে বোরোধান চাষে ব্যস্ত কৃষক

এস এস মুজিবর রহমান, অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি ঃ যশোরের অভয়নগরে চলতি বোরো মৌসুমে ১৪ হাজার ১শ’ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তদর। সে মোতাবেক কৃষকদের নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করে ইডিমধ্যে লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ৮৯ ভাগ জমিতে বোরো ধান রোপণ সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট জমি থেকে সরিষা উত্তোলন করে ধান রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত করছে কৃষকরা। এমনটি জানিয়ে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর, দাবি করেছে চলতি মৌসুমে বোরো চাষ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে ১৪ হাজার ১শ’ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। সরকারি খাল দখলমুক্ত করা ও খালের কচুরিপানা অপসারণে ভবদহে ২৯৯ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যে ১২ হাজার ৫শ’ ৪৯ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণ সম্পন্ন হয়েছে। সে হিসেবে চলতি বছয়ে এ উপজেলায় বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ধাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছর বোরো মৌসুমে এ উপজেলায় বোরো ধানের চাষ হয় ১৪ হাজার ২শ’ ৩০ হেক্টর জমিতে। ফলে আবহাওয়া অনুকূল থাকলে স্থানীয় চাহিদার তুলনায় অধিক ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা দেখছে কৃষি বিভাগ। উপজেলার একতারপুর এলাকার গ্রামতলা গ্রামের ধানচাষী শাহ্ আলম বলেন, এক বিঘা জমিতে সেচ দিতে খরচ হচ্ছে ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা। ধানের চারা, সার, কীটনাশক, মুজুরিসহ বিঘা প্রতি একজন কৃষকের ২২ হাজার থেকে ২৪ হাজার টাকা খরচ হবে। আবহাওয়া অনুকুলে খাকলে ও ফলন ভালো হলে কৃষক টিকে থাকবে। অন্যথায় কৃষককে চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। এ জন্য তিনি উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে তদারকি বৃদ্ধির দাবি জানান। এদিকে অন্য কৃষকদের দাবি, চলতি বোরো মৌসুমে ধান চাষ করতে তাদের ত্রাহী অবস্থা দেখা দিয়েছে। বীজ, সার, কিটনাশক, মজুরিসহ সকল কিছুর মূল্যই উর্ধ্বমুখী। সেই সাথে বিদ্যুতের লোডশেডিং রয়েছে। একদিকে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি ও বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের সেচ খরচ দ্বিগুণ হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোছা. লাভলী খাতুন দাবি করেন, সরকারের নানামুখি পদক্ষেপ, বিভিন্ন পর্যায়ে ভর্তুকি চালু, পর্যাপ্ত সার সরবরাহ, কৃষি অফিসের তদারকি, সার ও বীজ মনিটরিং যথাযথ হওয়ায় এবং সারের বর্তমান বাজার মূল্য কম থাকায় কৃষকরা ধান চাষে অধিক মনোযোগী হয়েছে। এক প্রশ্নে কৃষি কর্মকর্তা বলেন, উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের যে কোন কৃষক মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দ্বারা অবহেলিত হলে বা সুষ্ঠু সমাধান না পেলে সরাসরি আমার অফিসের দরজা কৃষকদের জন্য খোলা থাকবে।