বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির নিন্দা ও প্রতিবাদ জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের

খবর বিজ্ঞপ্তি : জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, খুলনা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ, এম,হুমায়ুন কবির, সুভাষ সাহা,আনোয়ার হোসেন, বরকত আলী, আবদুল মালেক, হংস শুভ্র হালদার এক যৌথ বিবৃতিতে গণশুনানিকে উচ্ছেদ করে, আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাহী আদেশে পুনরায় বিদ্যুৎ এর দাম বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন ২০২৩ সালে সরকার তিন দফা বিদ্যুৎ এর দাম বৃদ্ধি করেছিল। এখন এক বছরের মাথায় প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ৩৪-৭০পয়সা বৃদ্ধি এবং এর সাথে ডিমান্ড চার্জ,ভ্যাট,মিটার ভাড়া যোগ করায় দেশের মূল্যস্ফীতির ভয়ংকর রূপ নেবে।সাধারন মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধিতে দূর্বিসহ অবস্থায় দিন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। গরীবমানুষের আয় বৃদ্ধি না পেলেও ব্যয় কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। এর সাথে বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে ৮.৫০% পুনরায় বিদ্যুৎ মূল্য বৃদ্ধি এযেনো মরার উপর খারার ঘা। রেন্টাল,কুইকরেন্টালের বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে বসিয়ে বসিয়ে ৬০হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জের নামে প্রদান করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলোকে লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছে। সরকার বছরে বছরে ভর্তুকির কথা বললেও বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে অবৈধ সংযোগ,অদক্ষতা, অব্যবস্থাপনার কারণে ভর্তুকির নামে চুরি রোধে ব্যর্থ হচ্ছে। নেতৃবৃন্দ বলেন ডলার সংকট নয়, দূর্নীতি জ্বালানী খাতে মূল সমস্যা। জনবিচ্ছিন্ন সরকারের সাধারণ জনগণের নিকট কোনো জবাবদিহিতা নাই।জনগনকে জিম্মি করে সরকার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করছে। সরকার বিদ্যুৎ খাতকে আদানি গ্রুপসহ ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কাছে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।ফলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ আমদানি করতে হবে। নেতৃবৃন্দ বিদ্যুৎ এর বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহবান জানান।