স্থানীয় সংবাদ

খুলনায় অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে অভিযান ঝিমিয়ে পড়েছে

শুধু তালিকাই তৈরী হচ্ছে, বন্ধ হচ্ছে না মানুষ মারার কারখানাগুলো

শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ খুলনায় অবৈধ বেসরকারী প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতো প্রশাসনের বেশ অভিযান শুরু হওয়ায় জনমনে স্বস্তি দেখা দেয়। কিন্তু মাত্র ২/১টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে জরিমানা করে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠা বাকি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান একেবারেই ঝিমিয়ে পড়েছে। অবৈধ এসকল ক্লিনিক কার্যক্রম এখনও চলমান আছে। এগুলোতে সাধারন মানুষ না বুঝে যেমন অর্থ খোয়াচ্ছে তেমন স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে অদক্ষ নার্স ডাক্তারের চিকিৎসা নিয়ে জীবন-মৃত্যুর ঝুঁকিতে চলে যাচ্ছে। নিবন্ধন না থাকা এসব ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে না কোন অভিযান। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অবৈধ এসব প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা থাকলেও বাস্তবায়ন হচ্ছেনা খুলনা জেলায়। এ দিকে নাম মাত্র সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে আর কতিপয় অসাধু চিকিৎসক আর মার্কেটিং দালালদের নিয়ে চলছে এসব অবৈধ বেসরকারী প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো। এ দিকে শুধু মাত্র খুলনা মহানগরীতে ১০টি অবৈধ বেসরকারী প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুলনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হয়ে লাইসেন্স বিহীন অবৈধ ঘোষনা করা হয়েছে। পাশাপাশি ১৪ টি অনলাইনে আবেদন করা হলেও হয়নি লাইসেন্স। এ দিকে এসব অবৈধ বেসরকারী প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোর বিরুদ্ধে এখনও খুলনা হয়নি তোমন কোন অভিযান। পাশাপাশি খুলনায় উপজেলা পর্যায়ে আর বেশি বেপরোয়া এসব বেসরকারী প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো। অধিকাংশ এসব মালিকানাধীন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান গুলো নেই কোন লাইসেন্স । এছাড়া কিছু অবৈধ বেসরকারী প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কতৃক বৈধ লাইসেন্স থাকলেও মানছেনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নীতিমালা। এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ নেই ডিপ্লোমাধারী প্যাথলজিষ্ট টেকনেশিয়ান। নেই কোন ডিপ্লমাধারী নার্স। পাওয়া যায়না পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র । তারপর ও চলছে এসব অবৈধ বেসরকারী প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো বিদ্যমান। এছাড়া খুলনা ৯টি উপজেলা পর্যায়ে সরকারি হাসপাতালের আশপাশে এক ডজনের বেশি অবৈধ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক চিকিৎসাসেবার নামে গলাকাটা বাণিজ্য করে আসছে। এসব যেন দেখার কেউ নেই। তবে অভিযযোগ আছে স্থানীয় দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা প্রতি মাসে নির্ধারিত মাসোহারা পেয়ে থাকে । এ বিষয়ে খুলনা সচেতন নাগরীক মোঃ খালিদ হোসেন বলেন, বিভিন্ন সময়ে শোনা যাচ্ছে ভুল চিকিৎসায় মানুষ মারা যাচ্ছে। আর তখন শোনায় যায় এসব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নেই বা স্বাস্থ্য অধিপ্তরের নিতীমালা অনুযায়ী ছিলনা। এর আগে যখন সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়না। এছাড়া এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ৮ম শ্রেণী পাস কর্মচারীরা প্যাথলজিষ্ট রিপোর্ট তৈরি করে এমন অভিযোগে প্রশাসন আটক করেছে। পরিশেষে বলব স্বাস্থ্য সেবা আমাদের মৌলিক চাহিদা এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আরও কঠোর হওয়া উচিত। মাঠ পর্যায়ে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। এ বিষয়ে খুলনা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সবিজুর রহমান বলেন, আমি উপজেলা পর্যায়ে সকল অবৈধ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোর বিরুদ্ধে অভিযানে নামছি। যেহেতু আমাদের জনবল সংকট আছে। তারপরও কঠোর ব্যবস্থা নিব। এ বিষয়ে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডাঃ মনজুরুল মুরশিদ বলেন, আমরা ইতোমধ্যে খুলনায় কতগুলো প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে । আর এদের মধ্যে কতটির লাইাসেন্স নেই অবৈধ ভাবে চলছে আমরা তার তালিকা তৈরি করছি। দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button