কোন অনিয়ম দুর্নীতি অবহেলা সহ্য করা হবে না
ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এমপি এস এম কামাল হোসেন
এম রুহুল আমিন ঃ খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন,শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের সেবার মান ভালো করতে হবে। জাতির পিতা সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী প্রথম ক্ষমতায় এসে দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা সেবার মান উন্নতি করার জন্য ১৯৯৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর এই হাসপাতালটি ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার চাচা শহীদ শেখ আবু নাসের এর নামে নামকরণ করা হয়। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে ২০০১ সালে এই হাসপাতালের যন্ত্রাংশ বগুড়ায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং এই হাসপাতালের কাজ বন্ধ করে দেন। শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে পুনরায় ক্ষমতায় এসে হাসপাতালের কাজ শুরু করে এবং পূর্ণাঙ্গ রূপ দিয়ে এ অঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা সেবা সহজ তরো করেছেন। যে ঠিকাদার খাবার সাপ্লাই করেন খাবার যেন ভাল হয় সেটা দেখতে হবে। রোগীদের খাবার খারাপ হলে ওই ঠিকাদারের কোন টাকা দেয়া হবে না এবং তার টেন্ডার বাতিল করতে হবে। রোগীরা যেন তাদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী সরকারি ওষুধ পত্র গুলো ঠিকমতো পায় সে ব্যবস্থা হ্সাপাতাল কর্তৃপক্ষকে করতে হবে। রবিবার দুপুর ১২টায় শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন। সভাপতির বক্তৃতায় তিনি বলেন, এই হাসপাতালটা শহীদ শেখ আবু নাসেরের নামে তাই এই হাসপাতালের কোন দুর্নাম আমরা শুনতে চাই না। কোন অনিয়ম,দুনীতি ও অবহেলা সহ্যকরা হবে না। আমার কোন লোক এখানে টেন্ডার পার্টিসিপেট করতে আসবে না। তাই চিকিৎসা সেবার ব্যবহার্য যে সকল যন্ত্রপাতি যে দেশের নামে লেখা থাকবে সেই দেশের যন্ত্রপাতি বুঝো নিতে হবে। জাপানি লেখা থাকলে জাপানি যন্ত্রপাতি দিতে হবে চায়না লেখা থাকলে চায়না যন্ত্রপাতি দিতে হবে। লেখা আছে জাপানি কিন্তু ঠিকাদার দিয়েছে চায়না। এই ধরনের কাজ যে কর্মকর্তা করবেন তাকে কোন ছাড় দেয়া হবে না। আমি চাই এই হসপিটালের নামের সাথে বঙ্গবন্ধুর পরিবার জড়িত এখানের কোন অনিয়ম ও দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। বর্তমানে হাসপাতালের পরিবেশ ও চিকিৎসা ভালো হয়, ভালো ব্যবহার করছে সেই সুনাম শোনা যাচ্ছে। আমি চাই এই হসপিটাল সেবার মান আরো ভালো করতে হবে। গরিব মানুষ যাতে তাদের চিকিৎসা পত্র নিতে পারে । এখানে যে জনবল সংকট,শয্যা সংখ্যা বাড়ানো ও ইকুপমেন্ট সমস্যা সহ যে সকল সমস্যা হসপিটালে রয়েছে আমি এ এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসাবে সেগুলো স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর সাথে কথা বলে দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করার চেষ্টা করব। যাতে এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা সহজ ভাবে নিতে পারে। শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক ডা. শেখ আবু শাহীনের সঞ্চালনায় ও সভায় বক্তৃতায় তিনি বলেন, শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি নির্মাণ কাজ সম্পর্কিত, ড্রেনেস ব্যবস্থার উন্নয়ন, রান্নাঘর আধুনিকরণ , পৃথক স্টোর নির্মাণ ও ডায়ালাইসিস ইউনিটের উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ অগ্রগতি সহ হাসপাতালের নানা সুবিধা ও অসুবিধার কথা তুলে ধরেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তৃতা করেন খুলনা বিভাগীয় সিনিয়র সহকারী কমিশনার এস এম মোস্তাফিজুর রহমান, কেএমপি’র অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার(নর্থ) সোনালী সেন, খুলনার গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার বিশ্বাস, বিভাগীয় সমাজসেবা কর্মকর্তা ডক্টর মোঃ মেহেদী আল মাসুদ, বি জি এম পি ও এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা: বঙ্গ কমল বসু, খুলনা চেম্বার অফ কমার্সের সহ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের আর এম ও ডা: প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান, হিসাবরক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম,মোঃ মাসুদ পারভেজ পাভেল। এছাড়াও হাসপাতালে চিকিৎসক ও কমিটির অন্যান্য সদস্য সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।