দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে সবাইকে দায়িত্বশীল ভুমিকা রাখতে হবে
মহানগর আ’লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সিটি মেয়র
স্টাফ রিপোর্টার : খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ¦ তালুকদার আব্দুল খালেকের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে দেশে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। আমাদের আগামী প্রজন্মের কল্যাণে একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ রেখে যাওয়ার জন্য অগ্রগতির এই ধারা অব্যাহত রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের। আমাদের দেশ যেন আর পিছিয়ে না যায় সেজন্য দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের সকলের দূরদর্শী ভূমিকা রাখতে হবে। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে দায়িত্বশীল ভুমিকা রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশের এগিয়ে চলার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে সিটি মেয়র বলেন, দেশের সব বাড়িতে এখন বিদ্যুৎ আছে। ২০০৯ সালে যেখানে ৩২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো, মাত্র ৯% মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পেতো। আর গত ১৪ বছরে এখন প্রায় ২৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সবসময় খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল। এখন আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কৃষি জমি কমে গেছে কিন্তু তারপরও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। আর এসব অর্জন এমনিতেই হয়নি। শেখ হাসিনার লক্ষ্যভিত্তিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফলে সম্ভব হয়েছে। কৃষি ক্ষেত্রে গবেষণা, কৃষিতে ভর্তুকি প্রদানসহ সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। এখন ধান উৎপাদনে আমরা বিশ্বে চতুর্থ স্থানে, আর স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে এবং সবজি উৎপাদনেও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছি। আমাদের প্রাথমিক শিক্ষার হার প্রায় শতভাগ, দারিদ্রের হার আমরা অর্ধেকে নামিয়ে এনেছি। আর এসব কিছু সম্ভব হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্বের কারণে। তার নেতৃত্বে দেশ আগামীতে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তরিত হবে, ইনশাল্লাহ। সে লক্ষে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সকলকে সহযোগীতা করার আহবান জানান তিনি। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানার পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মিজানুর রহমান মিজান, বেগ লিয়াকত আলী, মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ শহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, মো. আশরাফুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর আলী আকবর টিপু, মো. শাহজাদা, মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাকসুদ আলম খাজা, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, কামরুল ইসলাম বাবলু, বীরেন্দ্র নাথ ঘোষ, হাফেজ মো. শামীম, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, শেখ নুর মোহাম্মদ, এ্যাড. সরদার আনিছুর রহমান পপলু, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, শেখ সৈয়দ আলী, শেখ আবিদ হোসেন, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, মোল্যা মনিরুল ইসলাম বাশার, তসলিম আহমেদ আশা, শহীদুল ইসলাম বন্দ, এস এম আনিছুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান, মনিরুজ্জামান খান খোকন, এস এম আকিল উদ্দিন, শেখ দাউদ হায়দার প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।
সভায় ১২নং ওয়ার্ড ব্যতীত খালিশপুর থানার ৮টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির সর্ব সম্মতিক্রমে অনুমতি দেয়া হয়।