খুলনায় চার আবাসিক ভবন থেকে রেস্টুরেন্ট সরাতে কেডিএর নোটিশ : ১১ প্রতিষ্ঠানকে সতর্কবার্তা

কেডিএ-ফায়ার সার্ভিস’র যৌথ অভিযান
স্টাফ রিপোর্টার ঃ আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে অভিযান শুরু করেছে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) ও ফায়ার সার্ভিস। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে অভিযান শুরু হয়। প্রথম দিনে অগ্নি নির্বাপনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নিয়েই রেস্টুরেন্টসহ ১১টি প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনটি ভবন মালিকদের বাণিজ্যিক ভবন থেকে হোটেল ও রেস্টুরেন্ট সরিয়ে নিতে পৃথক আরেকটি চিঠি দিয়েছে কেডিএ। ভবনগুলি হল নিউ মার্কেট সংলগ্ন ইব্রাহিম মিয়া সড়কের একই ভবনে ৩টি রেস্টুরেন্ট এক একটি এটম বোম্ব। রেস্টুরেন্টগুলো হল ‘ক্যাফেনিটি’ ‘মাম্বোস’ ও ‘কফিতা’। এই ভবনের মালিকের নাম ইফতেখার হোসেন। এরপরে আছে ‘মিনিশো রেস্টুরেন্ট’। এই রেস্টুরেন্টটি যে ভবনে সে ভবনের মালিকের নাম আব্দুর রশিদ। এরপরে আছে ‘আরবান প্লেট’। এর মালিকের নাম বাবলু দোবে। এছাড়াও সেফ এন্ড সেভ এর কিচেনে সেই ঝুঁকিপূর্ণ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, রেস্টুরেন্টে নেই কোন ফায়ার এক্সটিংগুইসার। তারা জানায় তাদের ১৭-১৮টি ফায়ার এক্সটিংগুইসার আছে কিন্তু একটিও দেখাতে পারেনি। কেডিএ’র ইমারত পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান জানান, সেফ এন্ড সেভ কে বিভিন্ন মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে যে জরিমানা করা হয় তা তাদের কাছে যৎসামান্য। জরিমানার ভয় তারা করে না বিধায় সামনে এধরণের রেস্টুরেন্টগুলো সিলগালা হয়ে যেতে পারে। কেডিএ’র চিঠিতে ৪৫ দিনের মধ্যে আবাসিক ভবন থেকে রেস্টুরেন্ট অপসারণ না করলে জরিমানা, প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠান সিলগালা করারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। কেডিএর সদস্য (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) শবনব সাবা জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে কেডিএ অ্যাপ্রোচ রোড, ইসলাম সড়ক ও নিউ মার্কেটের আশপাশের ৪টি ভবনে অভিযান চালানো হয়। এ সময় একটি ভবনেরও ফায়ার সেফটি প্লান ছিলো না। অল্প কয়েকটি ফায়ার এক্সটিংগুইসার ছাড়া আর কোনো ব্যবস্থা কেউ রাখেনি। এগুলোও কিভাবে চালাতে হয় তাও অনেকে জানেন না। জরুরী নির্গমন পথও ছিলো না কয়েকটি ভবনে। এজন্য ওই সব ভবনে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া আবাসিক ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৩টি ভবনে হোটেল ও রেস্টুরেন্ট তৈরি করা হয়েছে, যা কেডিএর ইমরাত আইনের লংঘন। এ জন্য ওই সব ভবন মালিককে ৪৫ দিনের মধ্যে রেস্টুরেন্ট সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। না হলে দেড় মাস পর অভিযান চালিয়ে রেস্টুরেন্টগুলো সিলগালা করা হবে। অভিযানে ফায়ার সার্ভিসের ওয়ার হাউজ পরিদর্শক মো. হাবিবুল্লাহ, কেডিএর অথরাইজড অফিসার জি এম মাসুদুর রহমান, ইমরাত পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান, আবদুল হান্নান, হাসিব পিয়াসসহ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।