যশোরের পল্লীতে চাঁদাবাজির ঘটনায় মামলা এক চাঁদাবাজ পুলিশের খাঁচায়

যশোর ব্যুরো
সদরের হালসা গ্রামে বসবাস করতে এক সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজদের চাঁদা দিতে হবে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় পরিবারের এক সদস্যকে খুন জঝমসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করার এক পর্যায় প্রকাশ্যে বাড়িতে এসে ৫লাখ টাকা চাঁদাদাবি করে নগদ সোয়া ৪ লাখ টাকা চাঁদা গ্রহন করে পুনরায় ৭৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে হুমকী দিচ্ছে। এ ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে চাঁদাবাজি মামলা হয়েছে। মামলাটি করেন যশোর সদর উপজেলার ৮নং দেয়াড়া ইউনিয়নের হালসা গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে আরিফ হোসেন। মামলায় আসামী করেন, একই এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে কামারুল ইসলাম। পুলিশ কামারুল ইসলামকে গ্রেফতার কওে আদালতে সোপর্দ করেছে।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, কামারুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন এলাকায় অপকর্ম করে বেড়ায়। স্থানীয় লোকজনের কাছে চাঁদা দাবিসহ চাঁদা আদায় করে থাকে। বাদি ও তার পরিবারের লোকজন হালসা ঠিকানায় বসবাস করতে হলে উল্লেখিত আসামীসহ তার অজ্ঞাতনামা আসামীরা বাদির নিকট চাঁদা দাবি করে। বাদি চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় আসামীরা বাদিকে খুন জখমসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। গত ২০ ফেব্রুয়ারী সকাল অনুমান সাড়ে ১০ টায় বাদির বসত বাড়িতে আসামী কামারুলসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা এসে বাদির নিকট ৫লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। বাদি চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার আসামীরা বাদিকে মারপিট করে নীলা ফোলা জখম করে। আসামীদের ভয়ে এক পর্যায়ে বাদি তার জমি জায়গা বন্ধক এবং পালিত গবাদি পশু বিক্রি করে আসামীদের চাঁদা স্বরুপ ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা দেন। কিছুদিন যাওয়ার পরে পুনঃরায় বাদির নিকট আসামীদের পূর্বের দাবীকৃত আরো ৭৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। বাদি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় উক্ত আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা বাদিকে বিভিন্ন ধরনের খুন জখমের হুমকী দিতে থাকে। বাদি ঘটনার বিষয় স্থানীয় লোকজনদের জানিয়ে থানায় এসে মামলা করেন। পুলিশ চাঁদাবাজ কামারুল ইসলামকে আটক করে। বুধবার ৬ মার্চ দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করে।