ডুমুরিয়ার মাদ্রাসায় দুর্বৃত্তদের হামলায় সুপারসহ গুরত্বর জখম ২
স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা আন্দুলিয়া কাদেরিয়া দাখিল মাদ্রাসার জমি জবরদখল করতে ব্যর্থ হয়ে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো: খায়রুল আলম ও মাদ্রসার অফিস সহকারি রুহুল আমিন। তাদের গুরুতর জখম অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খুমেক হাসপাতালের সূত্র মতে, গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ২নং রঘুনাথপুর ইউনিয়নের আন্দুলিয়া কাদেরিয়া দাখিল মাদ্রাসার জমি দখল করাকে কেন্দ্র করে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মৃত সাত্তার আকুঞ্জির পুত্র খাইরুল আলম (৫৫) ও অফিস সহকারী মৃত তৈয়বুর রহমানের পুত্র রুহুল আমিন আকুঞ্জি (৫০) কে মো: শহিদুল আকুঞ্জি ও মফিজুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন দেশিয় অস্ত্র দিয়ে তাদেরকে আঘাত করে। তাদেরকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা বলেন, ঘটনা জেনেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো: খায়রুল আলম এর ছেলে মো: আব্দুল্লাহ আকুঞ্জি বলেন, তার বাবা খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা আন্দুলিয়া কাদেরিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো: খায়রুল আলম। রোববার সকাল ১০টার দিকে মাদ্রাসার পাশের জমি দখলকে কেন্দ্রে করে শহিদুল আকুঞ্জি, তার ছেলে কবির আকুঞ্জি, ওমর আকুঞ্জি, মফিজুর রহমান ও ফরহাদ গাজীসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন মিলে ওই মাদ্রাসার পাশের জায়গার জমি দখল করতে যায়। এ সময় তার বাবা মো: খায়রুল আলম বাধা দিলে তাকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র রড ও লাঠি শোটা নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় মাদ্রাসার অফিস সহকারি রুহুল আমিন এগিয়ে আসলে তাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। আমরা বিষয়টি ডুমুরিয়া থানা পুলিশকে অবহিত করেই বাবা ও রুহুল আমিনকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে খুমেক হাসপাতালে নিয়ে আসি। যারা জমি দখল করতে আসছিলো ওই জমিও মাদ্রাসার জায়গা বলে মো: আব্দুল্লাহ আকুঞ্জি জানিয়েছেন।
মাদ্রাসার সুপার মাওলানা খায়রুল আলম বলেন, বিষয়টি মীমাংসার এক পর্যায়ে রোববার সকালে বেড়া অপসারণের চেষ্টাকালে শহিদুল, মফিজুর, ওমর, আকবার, কবিরসহ অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা দা শাবল বাঁশের লাঠি নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা আমার ডান পা ভেঙ্গে দিয়েছে এবং মাদ্রাসার অফিস সহকারি রুহুল আমিনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। তার মাথায় দশটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।