পাটকেলঘাটা বাজারে সরকারি জায়গা দখলের হিড়িক

মতিউর রহমান, পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি ঃ পাটকেলঘাটা মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতি বিজড়িত কপোতাক্ষের তীর ঘেঁষে অবস্থিত সরকারি জায়গা দখলের হিড়িক পড়েছে। লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। একসময় পাটকেলঘাটা বাজার সাতক্ষীরা জেলার একটি শ্রেষ্ঠ ব্যবসায়ী বাজার হিসাবে খ্যাত ছিল। কিন্তু কপোতাক্ষ হারিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে ও অব্যবস্থাপনা আর অবহেলার কারণে বাজারটি আজ মৃত্যুর পথে। এই বাজারে অবস্থিত একাধিক হাইস্কুল,প্রাইমারী স্কুল, মাদ্রাসা,সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস, সরকারি এসিল্যান্ড অফিস সহ অসংখ্য সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বর্তমানে পাটকেলঘাটা এখন থানার রুপান্তরিত হয়েছে। কিন্তু অব্যবস্থানার কারণে বাজারে পূর্বের নামকরা গুড়ের ব্যবসা, হলুদ ব্যবসা, পান ব্যবসা ইত্যাদি নেই বললেই চলে। সপ্তাহে শনিবার ও বুধবার হাটের দুদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে এই বাজারে মালামাল ক্রয়- বিক্রয় ও ব্যবসা করতে আসে।কিন্তু বর্তমান বিভিন্ন হয়রানি ও অব্যবস্থাপনার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে বড় বড় ব্যবসায়ীরা আর ব্যবসা করতে আসে না।বাজারের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সরকারি জায়গা ও যাতায়াতের রাস্তা দখলের হিড়িক পড়েছে। তথ্য অনুসারে জানা যায়, এসিল্যান্ড অফিসে অসাধু কর্মকর্তাদের যোগাযোগে বিভিন্ন সরকারি জায়গা বরাদ্দ বা বরাদ্দ না নিয়ে দখল করে আছে। এমন কি বাজারে গাড়ি বা অন্য কোন পরিবহনে মালামাল আনা নেওয়া করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বাজারে নেই কোন তদারকি ব্যবস্থা।এই বাজারে হাজার হাজার ছোট বড় দোকান আছে। কিন্তু দায়িত্বরত কোন বণিক সমিতি নেই। বহুদিন পর প্রায় ৬/৭ বছর আগে জাঁকজমক ভাবে বণিক সমিতি নির্বাচন হয়েছিল। সবাই মনে করেছিল এবার হয়তো বাজারের চেহারা ফিরে আসবে।কিন্তু সে আশার গুড়ে বালি। কারণ বণিক সমিতির নির্বাচনের পর শুরু হয় চুরির হিড়িক। প্রতি বছর এই বাজার থেকে সরকার একটা বড় অংকের রাজস্ব পায় কিন্তু সেটা বাজারের কোন উন্নয়নে আসে না। কারণ দেখার মত কেউ নেই। প্রতিটি রাস্তার দোকান ছাড়া মালামাল দোকানের সামনে রাস্তার উপর চারদিকে জায়গা বড় করে নিয়ে বসে আছে। মানুষের যেমন চলাচলের সমস্যা তেমনি কোন গাড়ি নিয়ে মালামাল আনা নেওয়া বড় কঠিন। সেই সাথে আছে অধিক মূল্যে খাজনা আদায় সহ নানান ধরনের হয়রানি। যার কারণে দিন দিন বাজারের সুনাম, ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। যার জন্য পাশের বাজার গুলো জমজমাট হচ্ছে। বাজারের মেইন রাস্তার দু’ধারে জায়গাগুলো জেলা পরিষদের থাকলেও রক্ষা করার কোন তৎপরতা নেই। এছাড়া সরুলিয়া কুটিঘাটা সহ কপোতাক্ষ তীর ঘেঁষে যাওয়া সমস্ত সরকারি জায়গা দখল করে নিচ্ছে। তাই বাজারের ঐতিহ্য ধরে রাখতে, সরকারি জমি ও রাস্তার উপর থেকে বিভিন্ন মালামাল সরিয়ে বাজারের পরিচ্ছন্নতা ফিরিয়ে আনতে প্রসাশনের উদ্ধতম কর্মকর্তাদের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকা বাসি।