স্থানীয় সংবাদ

নগরীতে ঘুমের ট্যাবলেট ও কাশির সিরাপ হয়ে উঠছে নেশার অন্যতম উপাদান

সাইফুল্লাহ তারেক, আটরা গিলাতলা প্রতিনিধি ঃ ঘুমের ট্যাবলেট ও কাশির সিরাপ সবার জানামতে এক প্রকার ঔষধ। কিন্তু এগুলাই নেশার অন্যতম উপাদান হয়ে উঠছে খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার তরুন ছেলে-মেয়েদের কাছে। পরিবারের লোকজন যাতে বুঝতে না পারে তাই ঔষধ দিয়েই নেশার কাজ চালায় অনেকে, অনেকে মনে করে ভাল ঘুমের প্রয়োজন তাই তারা এগুলা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই গ্রহন করে। প্রেমে ব্যার্থ, সহজলভ্য, হতাশা ইত্যাদি বিভিন্ন কারনে মনে একটু দুঃখবোধ কাজ করলেই তারা এগুলা সানন্দে গিলছে। বিভিন্ন ফার্মেসী বিনা ব্যাবস্থাপত্র ছাড়াই তাদের কাছে ঘুমের ট্যাবলেট- সেডিল, সিডক্সিন, মাইলাম, ক্লোব, প্রেশারের এপিক্লোন, কাশির সিরাপ ফেনাড্রিল, তুশকা, অফকফ, এক্সপোটেন ইত্যাদি সরবরাহ করে। এগুলার সেবনপদ্ধতি ভয়াবহ। কেউ ঘুমের ট্যাবলেট গুড়ো করে সরাসরি কাশির সিরাপের মধ্যে, আবার কেউ ঘুমের ট্যাবলেট, সিরাপ এনার্জি ড্রিংসের মাঝে মিশিয়ে ঝাকিয়ে সেবন করে। অনেকে আবার শুধুমাত্র ঘুমের ট্যাবলেট নিয়মিত ২/৩ টা করে সেবন করে। বিশেষজ্ঞদের মতে এইরুপ ঘুমের ট্যাবলেট ও কাশির সিরাপ বা এনার্জি ড্রিংসের মিশ্রণ নিয়মিত সেবন করলে লিভার ক্যানসারসহ, কিডনীর বড় ধরনের অসুখ হতে পারে। এছাড়া দীর্ঘদিন ঘুমের ট্যাবলেট নিয়মিত সেবনের করলে দেহে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি বেড়ে যাওয়া, ফুসফুসের ক্রিয়া দুর্বল হয়ে যাওয়া, শ^াস নিতে কষ্ট হওয়া , বুদ্ধিমত্তা লোপ পাওয়া, মাথা ঘোরা, মাথা ধরা শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে যাওয়া , পেটে ব্যাথা, হজমের সমস্যাসহ খাদ্যে অরুচি দেখা দেয়, এছাড়া হাত, পা ও বুক জ¦ালা সহ নানা ধরনের জটিল সমস্যা দেখা দেয়। একাধিক অভিভাবক এর সাথে কথা বলে জানা যায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ধরনের মনিটরিং করা হয় না, যার ফলে ফার্মেসীগুলো বিনা প্রেসক্রিপশনে অবাধে এইসব ঔষধ বিক্রি করছে। এইভাবে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঔষধ বিক্রি করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। একমাত্র ম্যাজিস্ট্রেটই পারেন ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে ফার্মেসীগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করতে। এছাড়া এই প্রকার ঔষধের কুফল সম্পর্কে জনসচেতনতা গড়ে তোলা প্রয়োজন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button