স্থানীয় সংবাদ

সৌন্দর্য ফিরছে খুলনার সড়কে!

নগরীর সৌন্দর্য ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ ২২টি মোড় পুনর্নিমাণসহ বিভিন্ন উদ্যোগ কেসিসি’র, শীঘ্রই শুরু হচ্ছে প্রকল্পের কাজ, প্রকল্পটির সম্ভব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ কোটি টাকা, খুলনাকে আধুনিক তিলোত্তমা নগরী হিসাবে গড়ে তুলতে কেসিসি মেয়র বদ্ধ পরিকর

 

গুরুত্বপূর্ণ ২২টি মোড়ের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধনে পিটিআই মোড়ে দুইটি ফুট ওভারব্রিজ, রোড মার্কিং, জেব্রা ক্রসিং, পেইভ ওয়ার্ক ওয়ে, গার্ডেন ও স্ট্রিট লাইট, সিটিং জোন (যেখানে জায়গা আছে), প্লান্টটেশন, মেডিয়ান নির্মাণ, গুরুত্বপূর্ন মোড়ে পার্কিং ব্যবস্থা, পেইন্ট ওয়ার্ক, মুরাল নির্মান, দেয়ালের পুনঃসংস্কার, স্ট্রিট সাইনেস, প্যাসেঞ্জার শেড (যেখানে প্রয়োজন), হাই মাস লাইট (যেখানে প্রয়োজন), ভাস্কর্য ও ফোয়ারা নির্মাণ, ভ্যাটিক্যাল গ্রীন ওয়াল (সুবিধা মতো জায়গায় স্থাপন), মোড় প্রশস্তকরণ, সড়ক বিভাজক, ঝুলন্ত লাইট (প্রয়োজন মতো জায়গায় স্থাপন), গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ডিজিটাল ডিসপ্লে স্ক্রীন প্রদর্শন, স্পট লাইট, ফুটপাত নির্মান ও সংস্থার এবং রেলিং নির্মান (সুবিধা মতো জায়গায় স্থাপন), আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন সহ বিবিধ কাজ করা হবে।

মো.আশিকুর রহমান ঃ খুলনা মহানগরীতে নতুন রাস্তাঘাট নির্মান ও মেরামত, জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, অবৈধ দখল উচ্ছেদ, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নসহ বিবিধ উন্নয়ন মূলক কাজ করে চলেছে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি)। খুলনাকে আধুনিক নগরীর রূপ দিতে কেসিসি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেকের দৃঢ়তা, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং নিরলস প্রচেষ্টায় খুলনায় একের পর এক উন্নয়নে ছোঁয়া লেগেই আছে। খুলনাকে আধুনিক তিলোত্তমা নগরী হিসাবে গড়ে তুলতে তিনি অত্যন্ত সদয় ও বদ্ধপরিকর। কেসিসি মেয়র নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী খুলনাকে পরিচ্ছন্ন ও নান্দনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলার যে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন, সেই প্রতিশ্রুতি এবার বাস্তবে রুপ নিতে চলেছে। নগরীর সৌন্দর্য ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ ২২টি মোড় পুনর্নিমাণসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের মাধ্যমে মোড়গুলোর নতুন নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই চলছে। আগামী ৮/১০ দিনের মধ্যে ঠিকাদার নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। সব ঠিক থাকলে আগামী মাসেই এই কাজ শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে। প্রকল্পটির সম্ভব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১২কোটি টাকা। কেসিসি সূত্রে জানা গেছে, গোটা খুলনা শহরকে একটি আধুনিক বাসযোগ্য গ্রীন ও ক্লীন সিটিতে রূপদান, শহরের সড়কগুলো প্রশস্তকরণ ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোর সৌন্দর্যবর্ধনের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা নগরবাসীসহ নাগরিক নেতাদের। এছাড়া সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকও কেসিসি নির্বাচনের আগে নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনের পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সে অনুযায়ী ‘খুলনা সিটি করপোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা উন্নয়ন ও পুনর্বাসন’ প্রকল্পের আওতায় নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ২২টি মোড়ের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধনের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। মোড়গুলো যথাক্রমে- বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর (ময়লাপোতা মোড়), রুপসা মোড়, খুলনা মেডিকেল কলেজের সামনে, বয়রা বাজার মোড়, বয়রা মহিলা কলেজ মোড়, শিববাড়ি মোড়, বৈকালী মোড়, গোয়ালখালী মোড়,নতুন রাস্তার মোড়, ফুলবাড়িগেট মোড়, রয়েল মোড়, পিটিআই মোড়, টুটপাড়া কবরখানা মোড়, শান্তিধাম মোড়, পাওয়ার হাউস মোড়, জোড়াগেট মোড়, নূর অপটিক্যাল মোড়, কেসিসি সুপার মার্কেট মোড়, কোর্ট মোড়, সদর থানার মোড়, পিকচার প্যালেস মোড় ও ডাকবাংলো মোড়। আরো জানা গেছে, ‘খুলনা সিটি করপোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা উন্নয়ন ও পুনর্বাসন’ প্রকল্পের আওতায় গুরুত্বপূর্ণ ২২টি মোড়ের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধনে পিটিআই মোড়ে দুইটি ফুট ওভারব্রিজ, রোড মার্কিং, জেব্রা ক্রসিং, পেইভ ওয়ার্ক ওয়ে, গার্ডেন ও স্ট্রিট লাইট, সিটিং জোন (যেখানে জায়গা আছে), প্লান্টটেশন, মেডিয়ান নির্মাণ, গুরুত্বপূর্ন মোড়ে পাকিং ব্যবস্থা, পেইন্ট ওয়ার্ক, মুরাল নির্মান, দেয়ালের পুর্নসংস্কার, স্ট্রিট সাইনেস, প্যাসেঞ্জার শেড (যেখানে প্রয়োজন), হাই মার্চ লাইট (যেখানে প্রয়োজন), ভাস্কর্য ও ফোয়ারা নির্মাণ, ভ্যাটিক্যাল গ্রীন ওয়াল (সুবিধা মতো জায়গায় স্থাপন), মোড় প্রশস্তকরণ, সড়ক বিভাজক, ঝুলন্ত লাইট (প্রয়োজন মতো জায়গায় স্থাপন), গুরুত্বপূর্ন মোড়ে ডিজিটাল ডিসপ্লে স্ক্রীন প্রদর্শন, স্পট লাইট, ফুটপাত নির্মান ও সংস্থার এবং রেলিং নির্মান (সুবিধা মতো জায়গায় স্থাপন), আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন সহ বিবিধ কাজ করা হবে। এছাড়া একটি মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে বলেও জানা গেছে।
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ মোহাম্মাদ আলী জানান, ‘খুলনা সিটি করপোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা উন্নয়ন ও পুনর্বাসন’ প্রকল্পের আওতায় নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ২২টি মোড়ের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধনের যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে , তাতে করে গুরুত্বপূর্ন মোড়গুলোতে উন্নয়নে ছোঁয়া লাগলেও গোটা শহর গ্রীন ও ক্লীন সিটিতে রুপ নেবে না। গোটা খুলনা শহরকে আধুনিক বাসযোগ্য গ্রীন ও ক্লীন শহরে রুপ দিতে পরিকল্পিত আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সাধারন মানুষের আবাসন ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে হবে। শহরের যানজট নিরসনে পরিকল্পিত ট্রাফিক ব্যবস্থাপণাসহ পরিকল্পিত পরিবহন ব্যবস্থাপণা গড়ে তুলতে হবে। একই সাথে শহরকে সবুজে সবুজে গড়ে তুলতে পরিকল্পিতভাবে বনায়ণ ব্যবস্থা জোরদার করা দরকার। এসকল পরিকল্পিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে খুলনা গ্রীন ও ক্লীন সিটিতে পরিনত হবে বলে আমি মনে করি। চাকুরীজীবি মো. আক্তারুজ্জামান জানান, বাইরের দেশগুলোর সড়কের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, সড়কের পার্শ্ববতী নান্দনিক সৌন্দর্য পথচারীদের আকৃষ্ট করে। সচ্ছ পরিবেশের কারণে চলাফেরা করে স্বস্তি পাওয়া যায়। আমাদের দেশে সড়কের পাশে অসচেতন মানুষগুলোতে ইচ্ছা স্বাধীন নোংরা ময়লা আবর্জনা নিক্ষেপ করে পরিবেশ দূষিত করে তোলো। এতে করে সড়কের পাশে পড়ে থাকা ময়লা ভাগাড়ের কারণে বেহাল দশায় পরিনত হয়। যা খুলনা শহরেও চিরচেনা। পরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপণা ব্যবস্থা থাকলে অসচেতন মানুষেরা যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলে গোটা শহর নোংরা করে তোলো। খুলনাকে আধুনিক শহর হিসাবে গড়ে তোলায় জন্য খুলনা সিটি কর্পোরেশন নিয়মিত উন্নয়ন মূলক কাজ করে করছে, যা দৃশ্যমান। ইতোমধ্যে নগরীর ২২টি গুরুত্বপূর্ন মোড়ে সৌন্দর্য বদ্ধনের কাজ করতে যাচ্ছে। এতে করে খুলনা আরেক ধাপ উন্নয়নে এগিয়ে যাবে এবং ক্লীন সিটির সুঘ্রান আমরা পাবো। খুলনা শহর হবে একটি পরিচ্ছন্ন শহর। কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান জানান, খুলনা সিটি করপোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা উন্নয়ন ও পুনর্বাসন’ প্রকল্পের আওতায় নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ২২টি মোড়ের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধনের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের মাধ্যমে মোড়গুলোর নতুন নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই চলছে। ৮/১০ দিনের মধ্যে ঠিকাদার নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। সব ঠিক থাকলে আগামী মাসেই এই কাজ শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে। প্রকল্পটির সম্ভব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১২কোটি টাকা। তিনি আরো জানান, প্রকল্পের আওতায় মোড়গুলো সম্প্রসারণ এবং দৃষ্টিনন্দন করা হবে। নগরীর পিটিআই মোড়ে দুইটি ফুট ওভারব্রিজ, বেশ কিছু মোড়ে ফোয়ারা নির্মাণ, নতুন ফুটপাত নির্মান ও সংস্কার, সড়ক বিভাজক, জেব্রা ক্রসিং, বসার জায়গা ও আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন করা হবে। একটি মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে। আগামী এক বছরের মধ্যে এই কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি। খুলনা সিটি কর্পোরেশন’র মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী খুলনাকে পরিচ্ছন্ন ও নান্দনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করছি। গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলো আধুনিকায়ন হলে নগরীর সৌন্দর্য বাড়বে, পাশাপাশি শহরের যানজট নিরসনে সহায়ক হবে।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button