রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের সাথে ইফতার করলেন কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার
মাহে রমজানের দশম রোজায় বৃষ্টিতে
স্টাফ রিপোর্টার ঃ বৃহস্পতিবার দশম রোজা। পবিত্র মাহে রমজান রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে শুরু হয়েছে। খুলনা মহানগরীর কর্মব্যস্ত মানুষ অফিস শেষে যেখানে ছুটে চলেছেন আপনজনের সাথে ইফতার করতে সেখানে কেএমপি’র কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা ঘরে ফেরা মানুষের নির্বিঘেœ ঘরে পৌঁছাতে অফিস শেষে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে বৃষ্টিতে সিক্ত হয়ে নেমে পড়েন রাস্তায়। সেখানেই কর্মব্যস্ত মানুষের চলাচলে সৃষ্ট যানজট নিরসন শেষে ময়লাপোতা মোড়ে ইফতার করলেন কেএমপি কমিশনার। বৃহস্পতিবার দশম রোজায় কেএমপি কমিশনার খুলনা শহরের বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে ময়লাপোতা মোড়ে সহকর্মীদের সাথে একইসাথে কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে যানযট নিরসনে কাজ করেন। রমজান যে মানুষের মাঝে সমতার বার্তা নিয়ে আসে ভাতৃত্বের বন্ধন তৈরি করে এটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। অত:পর তিনি ময়লাপোতা মোড়স্থ পুলিশ বক্সের পাশে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশদের ইফতার সামগ্রী বিতরণ শেষে ইফতারে অংশগ্রহণ করেন।
কেএমপি’র কমিশনার ট্রাফিক ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে বলেন, ‘কর্মব্যস্ত খুলনা নগরবাসী কর্মস্থল থেকে নিরাপদে বাসায় ফিরে তাদের পরিবারের সাথে ইফতার করতে পারেন তার জন্য কেএমপির পক্ষ থেকে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক সদস্যদের সঙ্গে অতিরিক্ত জনবল মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও, ঈদকে কেন্দ্র করে খুলনা শহরের ব্যস্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখান থেকে উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিম সবদিকে গাড়ি যায়। সেই হিসেবে এখানকার অবস্থা সন্তোষজনক। ইফতারের ৩০ মিনিট আগে দেখা গেছে রাস্তায় তেমন কোন চাপ নাই। তাছাড়া রমজানের ১৫/২০ দিন পর থেকে সাধারণ মানুষ কেনাকাটা করতে বের হন। সে জন্য একটু যানযটের সৃষ্টি হয়। বেশিরভাগ মার্কেটেই পর্যাপ্ত পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নাই। আমরা সেখানে বাজার কমিটি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং পুলিশ মিলে সেটি যাতে সহনীয় রাখা যায় সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছি। তিনি এ সময় আরো বলেন, ‘‘আসুন, আমরা যাবতীয় ভোগবিলাস, হিংসা-বিদ্বেষ, উচ্ছলতা ও সংঘাত পরিহার করি এবং জীবনের সর্বস্তরের পরিমিতিবোধ, ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শনের মাধ্যমে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করি।’’এসময় কেএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।