স্থানীয় সংবাদ

পুলিশের অভিযানের পরও বন্ধ হচ্ছে না খুলনার আরাফাত ও জেকের অবৈধ দেহ ব্যবসা

স্টাফ রিপোর্টার ঃ পুলিশের অভিযানের পরও রমজানে খুলনার দুই আবাসিক হোটেলে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। খুলনা সদর থানা পুলিশের অভিযানের একদিন বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয়েছে সদর থানা মোড়ের আরাফাত গলির হোটেল আরাফাত আবাসিক ও সোনাডাঙ্গা থানাধীন এম এ বারী সড়কের হোটেল জে.কে.ইন আবাসিকে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। সদর থানায় নিয়মিত পুলিশে অভিযান চললেও সোনাডাঙ্গা থানা যেন মাদক ও দেহ ব্যবসায়ীদের নিরাপদ আবাসস্থল। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই দুইটি আবাসিক হোটেলে চলছে দেহ ব্যবসা ও মাদক বাণিজ্য। আর এ সকল হোটেলে রুম ভাড়া নিয়ে স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে। দেহ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে স্কুল কলেজের ছাত্রী ও মধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহবধূরা। হোটেলের সামনে বসে থাকা দালাল ও ষ্টাফরা খদ্দের ডেকে ভিতরে নিয়ে যায়। খুলনায় বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেলে এই ধরনের অনৈতিক কাজ চলছে। তবে এই দুইটি হোটেলের দৌরাত্ম্য অনেক বেশি। বিভিন্ন মহলকে মাসিক চাঁদা দিয়ে পরিচালনা করায় এদের দৌরাত্ম্যটা দিন দিন বাড়ছে। এই দুই আবাসিক হোটেলে যৌন কর্মী প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেহ ব্যবসা পরিচালনা করে আবার নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যায়। হোটেল আরাফাতে জুয়েল, কাওসার, ফারুক ও হোটেল জেকেইনে’র জুয়েল, কবির একটি সংবদ্ধ দল হয়ে ও বিভিন্ন দলীয় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে আবাসিক হোটেলের নামে দেহ ব্যবসা ও মাদকের আখড়া। ২ মার্চ ও ২০ শে মার্চ খুলনা সদর থানা পুলিশের অভিযানে হোটেল আরাফাত আবাসিক হতে খুলনা জেলার দাকোপ থানার নলিয়ানের কামরুল গাজীর মেয়ে সিনথিয়া খাতুন, খানজাহান আলী থানার জাবদিপুরের আঃ সাত্তারের মেয়ে হোসনেয়ারা বেগম, কয়রা থানার মদিনাবাদের আজহার গাজীর ছেলে শাহদাত হোসেন কে গ্রেফতার করা হয়। প্রতিবার পুলিশের অভিযানে ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকে দেহ-মাদক ব্যবসা পরিচালনাকারি ও হোটেল ভবনের মালিকরা। জেকেইন হোটেল এর মালিক কবির বলেন, এ ব্যাপারে আমি কোন কথা বলতে রাজি নই, আপনার কথা থাকলে আমাদের অন্য আরেকজন মালিক জুয়েলের সাথে কথা বলেন। এ বিষয়ে নাগরিক আন্দোলনের মহাসচিব এসএম দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রশাসনের ছাত্র ছায়ায় হোটেল ব্যবসার আড়ালে কিছু অসাধু হোটেল ব্যবসায়ী এ সকল অবৈধ দেহ ব্যবসা করে আসছে। রমজান মাসেও এগুলো বন্ধ হচ্ছে না। প্রশাসন অভিযান করলে তারপরে আবার শুরু হয় রমরমা ব্যবসা। এগুলো স্থায়ীভাবে বন্ধ হওয়া জরুরী এবিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: কামাল হোসেন বলেন, পুলিশ কমিশনার স্যারের নির্দেশক্রমে আমরা এসকল অবৈধ হোটেল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বরাবরই অভিযান পরিচালনা করে থাকি। তারই ধারাবাহিকতায় খুলনা সদর থানায় অনেক বার এসকল হোটেলে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে এবং বিভিন্ন মামলাও দেয়া হয়েছে। দুইদিন আগেও আমরা বিভিন্ন হোটেলে অভিযান পরিচালনা করেছি এবং এ অভিযান আমাদের নিয়মিত এঅভিযান চলবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button