খুমেক হাসপাতালে ময়লার ভাগাড়ে মিললো ৪৯৫ পিস ডিষ্টিল ওয়াটার

স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসুতি বিভাগের অকেজো মালামাল রাখার রুমে সরকারি ৪৯৫ টি ডিষ্টিল ওয়াটার জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সদুত্তর দিতে পারেনি কর্তব্যরত নার্স ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ইনচার্জ। এদিকে জব্দের সময়ে আউটসোর্সিং কর্মিদের তোপের মুখে পড়েন আনসার সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মিরা। পরে হাসপাতালের আরএমও ডা: সুমন রায় ঘটনাস্থলে এসে এগুলি জব্দ করার নির্দেশ দেন। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালন ডা: মো: হুসাইন শাফায়াত বলেন, ওই ওয়ার্ডে পুর্বের জব্দ করা ইনজেকশনের ডিস্ট্রিল ওয়াটার কিনা তা এখন বলতে পারছি না। যদি তা না হয় তাহলে বর্তমানে যে তদন্ত কমিটি আছে তাদেরকে নির্দেশনা দেবো আরেকটু সময়ে নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। কিভাবে এতো ডিস্ট্র্রিল ওয়াটার ওখানে আসলো। গতকাল শনিবার বিকালে খুমেক হাসপাতালের আবাসিক অফিসার ডাঃ সুমন রায়ের নেতৃত্বে আনসার সদস্যরা প্রসুতি বিভাগের একটি পরিত্যক্ত রুমের ময়লার স্তুপ থেকে ৪৯৫ টি ডিস্টিল ওয়াটার জব্দ করেন। যা ছিলো বালিশ দিয়ে চাপা দেওয়া। তবে ডিষ্টিল ওয়াটার জব্দ করা হলেও হদিস মেলেনি ইনজেকশনের। এদিকে জব্দের সময়ে কন্টাক ক্লিনিং সার্ভিসিং’র আউটসোর্সিং কর্মচারি রুমানা ও পাপিয়া তেড়ে আসে আনসার সদস্য ও গণমাধ্যম কর্মিদের দিকে। ধারনা করা হচ্ছে তারা এর সাথে জড়িত থাকতে পারেন। এর মধ্যে রুমানা আয়া হিসেবে কর্মরত এবং পাপিয়া ক্লিনার হিসেবে ওই ওয়ার্ডে কর্মরত। তারা দুইজনই প্রায় ২ বছর ধরে ওই ওয়ার্ডে কর্মরত আছে বলে একটি সূত্র জানায়।
সঠিক তদন্ত করলে এই বিষয়টি বেরিয়ে আসবে বলে সকলে ধারনা করা হচ্ছে। কর্তব্যরত সিনিয়র স্টাফ নার্স ও ওয়ার্ডের সাব ইনচার্জ রঞ্জু মোহন্তি বলেন, ওই রুম থেকে শুধু মাত্র ডিষ্টিল ওয়াটার উদ্ধার হয়েছে। তবে ওখানে কিভাবে আসলো, কবে, কে রাখলো, তা কিছুই বলতে পারবো না।
ওয়ার্ডের ইনচার্জ সাবিনা ইয়াসমিন সাংবাদিকদের বলেন, আমি সদ্য নিয়েছি, কেউ হ্যান্ড ওভারে আমাকে এই ডিষ্টিল ওয়াটারের ব্যাপারে বলেনি। এখানে কিভাবে আসলো, তাও আমি জানি না। খুমেকের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুমন রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আগামিকাল (আজ রবিবার) ওয়ার্ড ইনচার্জসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডাকবো। আসলে কি ভাবে এগুলো এখানে আসলো। খুমেক হাসপাতালে একটি সূত্র মতে, শাক-দিয়ে মাছ ঢাকার জন্য উদ্ধার হওয়া ইনজেকশেন সাথে এই সব ড্রিস্ট্রিল ওয়াটার। কিন্তু পূর্বে গ্যাসের ও সেফটিজোন মিলে ২১০ পিস ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়েছিলো। ওই ইনজেকশনের জন্য ২১০ টি ড্রিস্ট্রিল ওয়াটার থাকবে। কিন্তু এখানে উদ্ধার করা হয় ৪৯৫টি ড্রিস্ট্রিল ওয়াটার। যা ইডিসিএল এর সরবরাহকৃত। খুমেক হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত মো: রহিম বলেন, ওখানে মোট ৪৯৫ পিস ডিস্ট্রিল ওয়াটার পাওয়া যায়। যা সরকারিভাবে ইডিসিএল এর থেকে সরবরার করা মালামাল। আউটসোসিংয়ে নিয়োজিত আয়া পাপিয়া বলেন, আপনি বক্তব্য নিতে চাইলে হাসপাতালে আসেন। আমার নম্বরটা কোথায় পেলেন এই প্রশ্ন তোলেন তিনি।