স্থানীয় সংবাদ

আজ থেকে খুমেক হাসপাতালে ইন্টার্ণী চিকিৎসকদের ৪৮ ঘন্টার কর্মবিরতি শুরু

বেতন ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে

দাবি পুরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে : খুমেক ইন্টার্ণী চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি

স্টাফ রিপোর্টার ঃ নয় মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে টানা কর্মসূচি পালন করছেন পোস্ট গ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। এবার তাদের সঙ্গে ঐকমত্য প্রকাশ করে আন্দোলনে নেমেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও। কেন্দ্রীয় এই কর্মসূচির সাথে একত্মতা ঘোষণা করে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ণী চিকিৎসক পরিষদ আজ রোববার থেকে সোমবার পর্যন্ত ( ২৪ ও ২৫ মার্চ) কর্মবিরতি ঘোষণা করেছেন। তাদের এই দাবি পুরণ না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন তারা।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালন ডা: মো: হুসাইন শাফায়াত বলেন, ইন্টার্ণী চিকিৎসকরা আজ থেকে ৪৮ ঘন্টা কর্মবিরতি ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা নিরবচ্ছিন্ন করতে তাদেরও অবদান আছে। তাদের বেতন ভাতা মাসিক ৩০ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়ে তাদের এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। আমি বিষয়টি স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ে অবহিত করেছি। ইন্টার্ণী চিকিৎসকদের তাদের যৌক্তিক দাবি কর্তৃপক্ষ দ্রুত মেনে নেবে বলে আমি আশাবাদি। তাদের কর্মবিরতিতে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের স্বাস্থ্য সেবায় কোন ব্যাঘাত না ঘটে সেই জন্য সকলকে প্রস্তুতি থাকার সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ইন্টাণী চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা: দিবাকর চাকমা বলেন, বর্তমানে খুমেক হাসপাতালে ১৪০জন ইন্টার্ণী চিকিৎসক রয়েছেন। তিনি বলেন, গত বছর ইন্টার্ণী চিকিৎসক ও পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসক সবাই মিলে আন্দোলন করেছিলো তাদের বেতন ভাতা বৃৃদ্ধির জন্য এবং সেই সময়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আশ^াস দিয়োিছলেন যে, সবার বেতন ভাতা বৃৃদ্ধি করা হবে। তাই পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছিলো দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কিন্তু ইন্টার্ণী চিকিৎসকদের বেতন ভাতা বৃৃদ্ধি করা হয়নি। বারবার আমাদের আশ^াস দেওয়ার হয়েছিলো যে ইন্টার্ণী চিকিৎসকদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি করা হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সে দাবি পুরণ হয়নি। আমরা কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে একত্মতা ঘোষণা করে এই কর্মসূচি দিয়েছি। তিনি বলেন, বর্তমানে মাসিক বেতন ভাতা ১৫ হাজার টাকা দিচ্ছে। ওই সময়ে আমাদের দাবি ছিলো ৩০ হাজার টাকা করা। খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ইন্টার্ণী চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক স্বাক্ষরিত গতকাল শনিবার এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশের সকল ইন্টার্ণী চিকিৎসকদের প্রাণের দাবি হলো তাদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি করা হোক। সেই প্রেক্ষিতে গত বছর ইন্টার্ণী চিকিৎসক ও পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসক সবাই মিলে আন্দোলন করেছিলো তাদের বেতন ভাতা বৃৃদ্ধির জন্য এবং সেই সময়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আশ^াস দিয়োিছলেন যে, সবার বেতন ভাতা বৃৃদ্ধি করা হবে। তাই পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছিলো দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কিন্তু ইন্টার্ণী চিকিৎসকদের বেতন ভাতা বৃৃদ্ধি করা হয়নি। বারবার আমাদের আশ^াস দেওয়ার হয়েছিলো যে ইন্টার্ণী চিকিৎসকদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি করা হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত এর কোন অগ্রগতি দেখা যায়নি। যে কোন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অগ্রনী সেনানী হলো ইন্টার্ণী চিকিৎসকরা। আমরা দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে রোগীদের সেবা দিয়ে যাাচ্ছি। আমার অমানবিকভাবে যেইভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছি সেই কষ্টের তুলনায় আমাদের বেতন ভাতা খুবই নগন্য। তাই দাবি একটাই আমাদের বেতন ভাতা ৩০ হাজার টাকা করা হোক। আমাদের এই দাবি যৌক্তিক এবং আমাদের এই দাবি পুরণ করতেই হবে। এই দাবি পুরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের আন্দোলনের সাথে একত্মতা পোষন করে বাংলাদেশের সকল ইন্টার্ন চিকিৎসক দুই দিনের জন্য কর্মবিরতি ঘোষনা করেছে। তাই, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ইন্টার্ণী চিকিৎসক পরিষদ সবার সাথে একত্মতা পোষণ করে গতকাল শনিবার ২৩ মার্চ রাত ১২টা থেকে (২৪ মার্চ ও ২৫ মার্চ ) ৪৮ ঘন্টার কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে। এই সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি মেনে না নিলে আমরা আবারও শক্তিশালী হয়ে কর্মবিরতিতে যাবো।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button