স্থানীয় সংবাদ

পাটকেলঘাটায় যুবকেরা বেকারত্ব ঘোচাতে ক্রমেই ঝুঁকছে মুরগী পালনে

মতিউর রহমান, পাটকেলঘাটা প্রতিনিধিঃ বেকারত্বের সংখ্যা ক্রমেই যেন পাটকেলঘাটা থানার প্রত্যেকটা ইউনিয়নে বেড়েই চলেছে। চাকুরির আবেদন করতে করতে অবশেষে কিছু একটা করার তাগিদে মুরগী পালন করে ইতোমধ্যে অনেকেই স্বাবলম্বি ও হয়েছেন। এতে সংসারের স্বচ্ছলতা যেমন ফেরাতে সক্ষম হয়েছেন, তেমনি বেকারত্বের সংখ্যা কিছুটা হলেও হ্রাস পাচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, পাটকেলঘাটার কুমিরা,রাঢ়ীপাড়া,ইসলামকাটি,সরুলিয়া, ধানদিয়া সহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে মুরগী পালন বেশ চোখে পড়ার মতো। সীমিত জায়গা আর মুলধন বিনিয়োগে সুবিধা পাওয়ায় এ অঞ্চলে মুরগী পালন যেন একটি লাভ জনক ব্যবসায় পরিনত হয়েছে। তবে সরকারি ভাবে ঋন সুবিধা পেলে সোনালী ও পোল্ট্রি শিল্পকে এ অঞ্চলের মানুষের জনপ্রিয় ব্যবসায় পরিনত করা সম্ভাব হতো তা বলার অবকাশ রাখে না।আমান ইসলাম বলেন, তার মুরগী পালন করে ইতোমধ্যে লাভের আশা লক্ষ করেছেন। মিঠাবাড়ি গ্রামের মিজানুর রহমান তিনি একান্ত দৈনিক প্রবাহ পত্রিকার স্বাক্ষাৎকারে বলেন এ বছরেই নতুন পোল্ট্রি মুরগী ফার্ম করলাম। ফার্মে ২ হাজার বাচ্চা উঠিয়েছি। প্রায় ২ মাসের মাথায় গিয়ে গ্রোথ সম্পন্ন মুরগীগুলো বিক্রি করলে মোটামুটি লাভজনক খাতে পৌঁছাবে। ফার্ম মালিকরা জানান, পাটকেলঘাটা থানাধীন যেভাবে সোনালী, পোল্ট্রি শিল্পে মানুষ ঝুঁকছে তাতে এর বাজার কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা বলা যাচ্ছে না। গরু ও খাসির মাংসের দাম যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে পোল্ট্রিই গরীবের একমাত্র সহায় সম্বল। বেকারত্বের অভিশাপ কতটা ভয়াবহ তা এ অঞ্চলের শিক্ষিত বেকার যুবক – যুবতীরা বুঝতে পারছে।তাই সোনালী, পোল্ট্রি শিল্পই হোক এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের অন্যতম সহায়ক সেই প্রত্যাশায় পাটকেলঘাটাবাসী।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button