স্থানীয় সংবাদ

সবজির বাজারে ক্রেতাদের স্বস্তি : দাম এখন নাগালে

শেখ ফেরদৌস রহমান: গেল কয়েকদিনের মধ্যে হঠাৎ করে সবজির বাজার বেশ স্বাভাবিক। এতে করে ক্রেতারা খুশি হলেও বিক্রেতারা ভাল নেই। রমজানে প্রথম দিন থেকে প্রায় সব ধরনের সবজির বাজার বেশ চড়া ছিল। তবে গেল কয়েকদিনে মধ্যে প্রায় সব ধরনের নিত্য পণ্যের বাজার ক্রেতাদের নাগালে আছে। এ দিকে বিক্রেতারা বলছে আগের তুলনায় উপার্জন কম। আর ক্রেতারা সবজি সহ নিত্য পণ্যের বাজার স্বাভাবিক থেকে কম থাকায় বেশ খুশি। তবে এমন স্বস্তির বাজার যেন ধারাবাহিকতা বজায় রাখে এমনটাই প্রত্যাশা সাধারন জনগণের। মুলত সরকারী প্রশাসন হঠাৎ করে সারা দেশে যানবাহনে চাদাবাজি বন্ধসহ চাঁদাবাজদের আটক শুরু করে। এছাড়া চাহিদার তুলনায় পাইকারি বাজারে সরবারাহ বেশি থাকায় নিত্যপণ্যের বাজার বেশ স্বাভাবিক হয়েছে বলে মনে করছেন ক্রেতারা। সরেজমিনে দেখা যায়, লাউ প্রতি পিচ মাত্র ২০ টাকা, আবার দুটি লাউ এক সাথে ক্রয় করলে মাত্র ৩০ টাকা। এছাড়া টমেটে কেজি ১০ থেকে প্রকার ভেদে ১৫ টাকা প্রতি কেজি, বেগুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে, খিরাই শসা প্রতি কেজি ২০ থেকে ২৫টাকা প্রতি কেজি, চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ২৫ টাকা পুইশাক প্রতিকেজি ২০ টাকা,গাজর প্রতিকেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা,লাল শাক ২০ টাকা থেকে প্রকার ভেদে ৩০ টাকা প্রতি কেজি,ধনে পাতা প্রতি চার আটি মাত্র ৩০ টাক,কাচ কলা এক হালি মাত্র ১৫ টাকা,মাটির আলু প্রতি কেজি মাত্র ৪০ থেকে ৫০ টাকা,কাচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা,পেয়াজ প্রতিকে কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, রসুন প্রতি কেজি ৮০ টাকা থেকে ১২০ টাকা পযন্ত । তবে আলুর দাম বেড়েছে হঠাৎ। প্রতিকেজি ২৫ টাকার আলু এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। এছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যার পর নগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে মাইকে প্রচার করে আরও কম দামে বিক্রি হচ্ছে এসব সবজি। এ বিষয়ে কথা হয় ক্রেতা আব্দুর রাজ্জাকের সাথে তিনি বলেন, রমজানের শুরুতে যেভাবে নিত্য পণ্যের বাজার সহ সবজির আবারে আগুন ছিল এখন আর নেই। বেশ স্বাভাবিক আছে সকলের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আছে। আমি এর জন্য অবশ্যই সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ জানাই। এত কম দামের সবজির বাজার গেল কয়েক বছরে দেখা যায়নি বিশেষ করে এই রমজান মাসে। তবে এরকম ভাবে যেন নিত্যপণ্যের বাজার দর স্বাভাবিক থাকে। আমি এতটুকু দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে সবজি বিক্রেতা আবুল কালাম বলেন, ভাই লোকশানে আছি বর্তমানে বেচা-কেনা নেই। দেখেন হাক-ডাক ছেড়ে এক হালি কলা মাত্র ২০ টাকায় বিক্রি করছি তারপর ক্রেতারা বলে ১৫ টাকায়। উপায় না পেয়ে সেই ১৫ টাকা দরে বিক্রি করছি। মূলত পাইকাড়ি আড়তে চাহিদার তুলনায় সরবারাহ বেশি থাকায় সবজির বাজার দর কম। এছাড়া পরিবহন সেক্টরে এখন আর চাঁদাবাজি কম থাকায় পণ্যের বাজারে তার প্রভাব পড়েছে। তবে বর্তমান যে কম দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে। এতে করে আমাদের আগের মত উপার্জন হচ্ছে না।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button