স্থানীয় সংবাদ

মোংলায় পশুর নদীতে ট্রলার ডুবিতে এখনও উদ্ধার হয়নি নিখোঁজ নাবিকের লাশ

উদ্ধার কাজ অব্যাহত

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি ঃ মোংলায় ঝড়ের কবলে পড়ে ইট বোঝাই একটি ট্রালার ডুবির ঘটনায় নিখোজ লস্কর মোকছেদ হাওলাদারের লাশ এখনও উদ্ধার করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। বুধবার গভীর রাতে উপজেলার বুড়িরডাঙ্গর বিদ্যারবাহন এলাকায় পশুর নদীর মাঝ খানে এ ঘটনা ঘটে। ট্রলারে থাকা ৩ নাবিকের মধ্যে দুইজন সাতার কেটে কিনারে উঠতে পারলেও টাকা সহ মুল্যবান মালামাল আনতে গিয়ে নিখোজ হয় মোকছেদ হাওলাদার (৬০)। সকাল থেকেই উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট, নৌ-পুলিশ, ও কোস্টগার্ড। ফায়ার সার্ভিসের বাগেরহাট জেলা উপ-সহকারী পরিচালক সাইদুল আলম চৌধুরী জানায়, ২৭ মার্চ বুধবার সন্ধ্যায় খুলনার ১ নম্বর কাস্টমস ঘাট থেকে ৩০ হাজার ইট বোঝাই করে মটবাড়িয়ার শাপলেজা বাজারের উদ্দোশ্যে রওয়ানা হয় “এমভি মোকামিয়া দরবার শরিফ” নামের ইঞ্জিন চালিত ট্রলার। ওখানে চালক সহ মোঃ গফ্ফার ব্যাপারীর ছেলে হাসিব ব্যাপারী (২৬),ভান্ডারিয়ার চলখালী এলাকার মোঃ ছিদ্দিক ও খুলনার রুপসা থানার রহিমনগর এলাকার মৃত মফিজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মোকছেদ হাওলাদার ৪ জন নাবিক ছিল। এদিন গভীররাতে পশুর নদীর মোংলা বুড়িরডাঙ্গা বিদ্যারবাহন এলাকার পৌছালে হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। এসময় ৩ নাবিক সাঁতার কেটে কিনারে উঠতে পারলেও মোকছেদ হাওলাদার নামের এক নাবিক এখনও নিখোজ রয়েছে। ঘটনার পর পরই মোংলা ইপিজেড ও বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ২টি ইউনিট, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত নিখোঁজ নাবিকের সন্ধান করতে না পারলেও ট্রালারটি ডুবন্ত স্থান নির্ধারিত করতে পেরেছে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ট্রলার ডুবিতে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় প্রানে বেচে আসা অন্য নাবিকরা। ফায়ার সার্ভিসের জেলা উপ-সহকারী পরিচালক আরো জানায়, খবর পাওয়া মাত্রই মোংলা ইপিজেড’র একটি ইউনিটের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পরে দুপুরের দিকে বাগেরহাট থেকে আরো একটি ইউনিট যোগ দেয় নিখোজ নাবিক উদ্ধার অভিযানে। তবে নদীর পানির প্রচন্ড স্রোতের কারনে গভীরে যাওয়া খুবই কষ্টকর, তাই উদ্ধার কাজে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে যতক্ষন পর্যন্ত ডুবন্ত ট্রলার উদ্ধার ও নিখোজ নাবিকের সন্ধ্যান না পাওয়া যায় ততক্ষন পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button