যশোরে বিয়ে বাড়িতে চার দস্যু বার্মিজ চাকুসহ গ্রেফতার

যশোর ব্যুরো ঃ শুক্রবার সন্ধ্যা রাতে সদর উপজেলার মাহিদিয়া শেখপাড়া এক বিয়ে বাড়িতে দস্যুতা করতে যেয়ে স্থানীয় জনগনের সহায়তায় চার দস্যুকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। এ সময় দস্যুদের দখল হতে একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে কোতয়ালি থানায় গ্রেফতারকৃত ও তাদের সহযোগী পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে,যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া দাঁড়িপাড়া গ্রামের আজগর আলী বাবুর ছেলে নুর আমিন,একই এলাকার মৃত ইসমাইলের ছেলে মাহাবুব শেখ,শহরের চাঁচড়া রায়পাড়ার হাবিবুর রহমানের ছেলে সারমান, চাঁচড়া দাঁড়িপাড়ার নুরু শেখ এর ছেলে সাব্বির শেখ । গ্রেফতারকৃতদের শনিবার ৩০ মার্চ দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলাটি করেন, সদর উপজেলার মাহিদিয়া শেখপাড়া গ্রামের মৃত শেখ আবু তালেব এর ছেলে লুৎফর রহমান বাদি হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন,গত শুক্রবার ২৯ মার্চ বাদির মেয়ে লুৎফুন জান্নাত শর্মি এর সাথে সদর উপজেলার কচুয়া গ্রামের মুসা মাষ্টারের ছেলে তারেক এর সাথে উভয় পরিবারের সম্মতিক্রমে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাদি। উক্ত বিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজনকে কেন্দ্র করে শুক্রবার ২৯ মার্চ রাত অনুমানি সাড়ে ৯ টায় বাদির বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালে নূর আমিনসহ তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা ও পলাতক আসামী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাড়িতে ঢুকে ভয়ভীতি মারপিট ও আতংক সৃষ্টি করে বাদির নামসহ তার মেয়ের নাম ধরে ডেকে বিভিন্ন গালিগালাজসহ মেয়ের বিয়ে বাবদ ২লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। বাদি চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে নুর আমিন ধারালো বার্মিজ চাকু বাদির মেয়ের গলায় ধরে হত্যার চেষ্টাকালে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় নুর আমিনকে আটক করে। উল্লেখিত্ আসামীরা বাদির মেয়ের বিয়ে অনুষ্ঠানের বাদির মেয়েসহ নিকটতম আত্মীয় স্বজনদেও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বাঁধা সৃষ্টি করে এবং বাদির নিকটতম আত্মীয়স্বজনদেও হুমকি ধামকী দিয়ে বাড়ি হতে বের করে দেয়। বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার জন্য হুমকি দেয়। বাদি ঘটনাটি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নুর আমিনসহ তার সহযোগী আরো তিনজনকে গ্রেফতার করে। এ সময় নুর আমিনের হাতে থাকা বার্মিজ চাকু উদ্ধার করে। আসামীদের গ্রেফতারের সময় সদর উপজেলার মাহিদিয়া গ্রামের আব্দুর রবের ছেলে জাকির হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন কৌশলে পালিয়ে যায়।