স্থানীয় সংবাদ

খুলনায় চাঞ্চল্যকর লাইব্রেরিয়ান হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টিারঃ খুলনার চাঞ্চল্যকর পাঠক প্রিয় লাইব্রেরির লাইব্রেরিয়ান রফিকুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলার আসামি রিদয়কে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৬। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মোঃ হৃদয় (২৫) খুলনার বাবুস সালাম জামে মসজিদ এর পিছনে রেলওয়ে বস্তির নিক্সন মার্কেট এলাকার হান্নান পাসারীর ছেলে। র‌্যাব-৬ এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে গোপন সংবাদের রফিকুল হত্যা মামলার আসামি ডিএমপি ঢাকায় অবস্থান করছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আভিযানিক দলটি ঘটনার সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে র‌্যাব-৪, সদর কোম্পানী, ঢাকা এর সহযোগিতায় মিরপুর-১২, ডিএমপি ঢাকা হতে রফিকুল হত্যা মামলার প্রধান অন্যতম মোঃ হৃদয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হৃদয় হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে কেএমপি খুলনার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। উল্লেখ্য, নিহত রফিকুল ইসলাম মোল্লা (৫৫), খুলনা সদর থানাধীন ৪৭ কেডি ঘোষ রোড পাঠক প্রিয় লাইব্রেরীতে চাকুরি করতেন এবং পাঠক প্রিয় লাইব্রেরীর ৩য় তলার গোডাউনের পার্শ্বে তিনি বসবাস করতেন। আসামীদ্বয় একই লাইব্রেরীতে লেবার এর কাজ করতো। সেই সুবাদে আসামীদ্বয়ের সাথে ভিকটিমের মাঝে মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হতো এবং পরবর্তীতে তারা আবার একই সাথে কাজ করতো। গত ১ এপ্রিল রাত অনুমান ৮ টার সময় ওই লাইব্রেরীর সকল কর্মচারীগণ লাইব্রেরী তালাবদ্ধ করে তারাবির নামাজ আদায় করার জন্য মসজিদে যায়। পরবর্তীতে রাত্র সাড়ে ১০টায় লাইব্রেরীর কর্মচারীগণ তারাবির নামাজ আদায় শেষ করে লাইব্রেরীর ম্যানেজার শাহজাহান (৫৫) দেখতে পান যে পাঠক প্রিয় লাইব্রেরীর ৩য় তলার গোডাউনের পিছনের দরজা খোলা এবং গোডাউনের রুমের মধ্যে পিছন দরজার সামনে ভিকটিমের রক্তমাখা লাশ পড়ে আছে। ম্যানেজার শাহজাহান ভিকটিমের রক্তমাখা লাশ দেখতে পেয়ে ডাকচিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসেন এবং ভিকটিমের রক্তমাখা মৃতদেহ দেখতে পান। পরবর্তীতে বিষয়টি খুলনা থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং এক পর্যায়ে গোডাউনে লাগানোর সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনায় দেখা যায় ভিকটিমকে মোঃ চাঁন মিয়া সরদার (৪৫) এবং মোঃ হৃদয় (২৫) মারপিট করে এবং গলায় বই বাঁধার সুতার তৈরি পাঁকানো কালো চিকন রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের ছেলে বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই ঘটনার পর থেকে আসামীদ্বকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র‌্যাব-৬ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button