সরকারের বিদ্যুৎ উন্নয়নের কথা বাকসর্বস্ব : খুলনা বিএনপি

গরমের মধ্যে লোডশেডিং. ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ
স্টাফ রিপোর্টার ঃ প্রচ- গরমের মধ্যে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে মানুষ এক ভয়াবহ দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। খুলনায় প্রচ- গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। ইফতার, তারাবিহ ও সাহরির সময় বিদ্যুৎ না থাকায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছেন খুলনা বিএনপি নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, শুধু নিজেদের ঘনিষ্ঠজনকে বিপুল-অর্থবিত্তের মালিক করার জন্যই রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ভতুর্কির নামে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা পকেট থেকে কেটে নেয়া হয়েছে, কিন্তু এটি যে ছিল এক ধরণের জালিয়াতি, সেটিই এখন বিকট লোডশেডিংয়ের আত্মপ্রকাশ-তার সুষ্পষ্ট প্রমাণ জনগণ দেখতে পাচ্ছে। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিএনপি মিডিয়া সেল প্রদত্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, অবৈধ সরকারে বিদ্যুতের উন্নয়নের কথা যে বাকসর্বস্ব, ভয়াবহ লোডশেডিং তার প্রমাণবহন করছে। সরকারের শতভাগ বিদ্যুতায়নের গল্প আজ আষাঢ়ের গল্পে পরিনত হয়েছে। কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট করার আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে দুর্নীতি করা, এসব করে নিজেদের পকেট ভারী করা, বিদেশে গিয়ে বাড়িঘর তৈরি করেছে শাসকদল। ইফতার, তারাবিহ ও সাহরির সময় বিদ্যুৎ দিতে ব্যর্থতার কারনে শিশু ও বয়স্করা গরমে নাকাল অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ সংকটে বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে, প্রচ- গরমে হিটস্ট্রোক, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগবালাই দেখা দিয়েছে। প্রদত্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে হাসপাতালে রোগীদের সেবায় হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের। বিদ্যুৎ এক ঘণ্টা থাকে, আবার এক ঘণ্টা লোডশেডিং চলে। এতে রাতে ঘুমের মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটেছে। বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়ন হয়নি। পুরো খাতটিই ভঙ্গুর। অবিলম্বে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর বিএনপির সম্মানিত সদস্য রকিবুল ইসলাম বকুল, মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী প্রমূখ।