যশোর শহরের দু’টি স্থানে পবিত্র রমজান মাসে অবাধে বিষাক্ত মদ ও স্পিরিট বিক্রির অভিযোগ

মোঃ মোকাদ্দেছুর রহমান রকি যশোর থেকে ঃ আবারো খোদ যশোর শহরের বড় বাজারো অবৈধ ভেজাল মদ ও স্পিরিট পান করে প্রাণ নাশের আশংকা দেখা দিয়েছে । পবিত্র রমজান মাসে পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কতিপয় অর্থলোভী কর্মকর্তা ও সদস্যদের সাথে যোগাযোগ রেখে শহরের বড় বাজারের বাবু বাজার পতিতালয় ও তার আশপাশে এবং মাড়–য়াড়ী মন্দির সংলগ্ন পতিতালয়ের সামনে অবাধে বিক্রি হচ্ছে প্রান ধ্বংসকারী অবৈধ ভেজাল মদ ও স্পিরিট। বড় বাজারের দু’টি স্থানে ১০ জনের একটি সিন্ডিকেট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা ও সদর পুলিশ ফাঁড়ীর কতিপয় অর্থলোভী কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে অবৈধভাবে মদ ও স্পিরিট বেচাকেনা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাবু বাজার পতিতালয়ের আশপাশের ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, বাবু বাজার পতিতালয় ও তার সামনে তাড়িখানা গলিসহ আশপাশ এলাকায় ইছালী ইউনিয়নের সাবেক এক কাউন্সিলর জাকিরের নেতৃত্বে শহরের বেজপাড়ার নিবাসীা মন্টু সাহা,বিরামপুরের রাসেল, আনারুল, চায়ের দোকানের আড়ালে বিরামপুরের আব্দুর রশিদ, ভোলা জেলার বাসিন্দা আবাসিক হোটেল স্বপ্নপুরি হোটেলের বোর্ডার ছোট মহাসিন ও মাড়–য়াড়ী মন্দির সংলগ্ন পতিতালয়ের সামনে সাজু,রতন,কৃষ্ণ,কালো মিন্টুসহ একটি অবৈধ ভেজাল মদ সিন্ডিকেট খুব ভোওে শহরের মাড়–য়াড়ী মন্দির সংলগ্ন এলাকা থেকে মদ সংগ্রহ করে লাইসেন্স ছাড়াই অবাধে বিক্রি করছে। তারা প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মদ বিক্রির এই সিন্ডিকেট মদের মধ্যে বিভিন্ন বিষাক্ত স্পিরিটসহ নেশায় আসক্ত করার উপাদান মিশিয়ে অধিক লাভের আশায় লাইসেন্স বিহীন সেবনকারীদের কাছে অর্থের বিনিময়ে অবৈধভাবে বিক্রি করছে। শহরের মধ্যে মদ বিক্রির ফলে মদ সেবনকারীদের পরিবার পড়েছে চরম আশংকায়। বছর কয়েক পূর্বে এই দু’টি স্থান থেকে তাদের স্বামী ও অভিভাবক মদ সেবন করে শহরের বারান্দী পাড়া এলাকার ছোট মনি,গরীবশাহ সংলগ্ন এক যুবক মুন্না,শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডস্থ বাসিন্দা সাবুর,ইডেন মার্কেটের এক সময়ের ভিডিও ব্যবসায়ী নুরু,কচুয়া এলাকাসহ যশোর সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কমপক্ষে ১৫ জনের প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে। সে সময় আক্রান্ত হয়েছিল প্রায় ২০/২৫জন। সূত্রগুলো দাবি করেছেন, শহরের হাটখোলা রোডস্থ মাড়–য়াড়ী মন্দির সংলগ্ন পতিতালয়ের সামনে ও বাবু বাজার পতিালয় এলাকায় মদ বেচাকেনার সাথে জড়িত কমপক্ষে ৩০ জনের অধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মাদক আইনে বেশ কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা চলমান থাকলেও তারা অবৈধ ভেজাল মদ বিক্রি থেকে একটু পিছুপা হয়নি। তবে এক সময় মাড়–য়াড়ী মন্দির সংলগ্ন এলাকা থেকে মদ বিক্রির অভিযোগে আবু হাসান নামে এক ব্যক্তিসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সেই সময় গ্রেফতার করেন। আবু হাসান দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর আটক হয়ে স্বেচ্ছায় আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন। ওইসব মাদক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সেই সময় আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। যে মামলাগুলি বিচারাধীন । সুত্রƒ গুলো আরো জানিয়েছেন, ওই সময় মামলার আসামীদের মধ্যে বর্তমানে কয়েকজন আবারো বিষাক্ত অবৈধ মদ বেচাকেনা কাছে লিপ্ত রয়েছেন। মদ বেচাকেনার সাথে সম্পৃক্ত নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানান, যশোর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর জেলা কার্যালয় ক সার্কেলের উপ-পরিদর্শক এস এম শাহীন পারভেজসহ দু’জন ও সদর পুলিশ ফাঁড়ীর এক এএসআই এবং এক এটিএসআই সহ বেশ কয়েক জনের সাথে সাপ্তাহিক ও মাসিক চুক্তি থাকায় অবৈধ মদ বিক্রেতারা গ্রেফতার হন না। সূত্রগুলো আরো দাবি করেছেন,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয় ক সার্কেলের এক উপ-পরিদর্শকের সাথে সাপ্তাহিক চুক্তি থাকায় মাদকদ্রব্য বিভাগের অভিযানের খবর আগে থেকে মদ বিক্রেতাদের জানিয়ে দেন। সদর ফাঁড়ীর দুই কর্মকর্তা মদ বেচাকেনার সামনে দিয়ে টহল দিলেও না দেখার ভান করেন। আবারো বিষাক্ত ও অবৈধ মদ বেচাকেনার কারনে মদ সেবনকারীদের পরিবার আবারো আশংকা প্রকাশ করেছেন। মাস কয়েক পূর্বে সদর পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ রোকিবুজ্জামান দায়িত্ব পালনকালে তিনি অবৈধ ভেজাল মদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স করার আশ^াস দিলেও আবারো যা তাই অবস্থান বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর খুলনা অতিরিক্ত পরিচালকের দৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।