রামপাল তাপ-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ডাকাতির ঘটনায় মোট ২০ জন গ্রেফতার
বাগেরহাট প্রতিনিধি: বহুল আলোচিত বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার বাংলাদেশ ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার প্লান্টে গভীর রাতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে আনসার সদস্য ও নিরাপত্তারক্ষীদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত মোট ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটককৃতদের শুক্রবারেই আদালতের মাধ্যমে বাগেরহাট জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আটক ও কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি শনিবার সকালে নিশ্চিত করেছেন রামপাল থানার ওসি সোমেন দাস। আটককৃতরা হলেন- উপজেলার গৌরম্ভা কৈগরদাসকাঠি এলাকার মুনছুর গাজীর ছেলে গুলিবিদ্ধ আছাবুর গাজী (৩০), একই এলাকার রেজাউল শেখের ছেলে রাঙ্গা শেখ (৩৮), আজগর গাজীর ছেলে রাজু (৩৫), সিদ্দিক শেখের ছেলে মোক্তার শেখ (৩২), কাপাশডাঙ্গা এলাকার হাসান শেখের ছেলে মোঃ মানিক শেখ (৩৫), ওমর গাজীর ছেলে ফারুক গাজী (৪৭), জুলফিকার মোল্লার ছেলে জারিয়াত মোল্লা (৪৬), মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে এসকেন্দার শেখ (৪৩), হাবির ছেলে আহাদ আলী (৩৮), মৃত আনার আলী গাজীর ছেলে মোঃ ফজলু গাজী (৫৫), মোঃ হাফিজ শেখের ছেলে মোঃ সালাম শেখ (৩০), মৃত আনার আলী গাজীর ছেলে মোঃ মনি গাজী(৪০), সাইফুল শেখের ছেলে মোঃ নূরনবী শেখ(১৯), মৃত হাদী মোল্লার ছেলে মোঃ আহাদ মোল্লা(৩৩), মোঃ কুদ্দুস আলী গাজীর ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ(৩৩), মোঃ বিল্লাল মোল্লার ছেলে মোঃ বাইজিদ মোল্লা(৩৭), ছায়রাবাদ এলাকার মোঃ তাহিদ শেখের ছেলে মোঃ রুবেল শেখ(২৬), গৌরম্ভা এলাকার মোঃ আবুল বাশার গাজীর ছেলে মোঃ মাজহারুল গাজী রাজ(২৮), বর্ণি এলাকার মোঃ শুকুর গাজীর ছেলে মোঃ আছাবুর গাজী(৩০) ও বড়দূর্গাপুর এলাকার পিরালী শেখের ছেলে আকরাম শেখ (৪৭)। উল্লেখ্য গত বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে রামপাল ভারত-বাংলাদেশ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আবাসিক ভবনের গেটে ৪৫-৫০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রবেশ করে মুল্যবান মালামাল ডাকাতি করে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের বাধা দিলে তারা নিরাপত্তাকর্মীদের উপর হামলা চালায়। তাদের ডাক চিৎকারে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা এসে তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় দুবৃর্ত্তরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আনসার সদস্য ও নিরাপত্তাকর্মীদের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও জানমাল রক্ষার্থে আনসার সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ হামলায় আহতদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন আনসার বাটালিয়ান হাবীলদার মোঃ শহীদুল ইসলাম। দুষ্কৃতকারী দল হামলা চালিয়ে ওই সময় তারা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন সাইজের ১ হাজার ৫৪২ কেজি লোহার রড নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এ ঘটনায় জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের সনাক্ত ও আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান ওসি সোমেন দাস।