স্থানীয় সংবাদ

বিতর্কিত শিক্ষিকাকে উদয়ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলী না করার দাবিতে এলাকাবাসী সোচ্চার

স্টাফ রিপোর্টারঃ মহেশ্বরপাশা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিমা আক্তার হিরা বদলী হওয়ার জন্য পছন্দসই তিনটি স্কুলের নাম উল্লেখ করে আবেদন করেছেন। নানাভাবে বিতর্কিত এই শিক্ষিকা যাতে পছন্দসই স্কুলে বদলী হতে না পারে সেই জন্য একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে সদর থানা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (টিও) বরাবর অভিযোগ পত্র দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগপ্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে টিও মোঃ শাহজাহান বলেন, ওই শিক্ষিকা যাতে পছন্দসই স্কুলে বদলী হতে না পারে সে জন্য তার বিরুদ্ধে দু’ টি আবেদন জমা পড়েছে। বিষয়টি তিনিসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা দেখছে বলে তিনি জানান। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, খুলনা সদরের অধিনে মহেশ্বরপাশা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মহিমা আক্তার হিরা বদলী হওয়ার জন্য পছন্দসই তিনটি স্কুলে আবেদন করেছেন। ওই তিনটি স্কুল একই থানার অধিনে। স্কুল তিনটি হলো ৪৬নং উদয়ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ন্যাশনাল বয়েজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নজরুল নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বছর ৩০ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা তাদের পছন্দসই তিনটি স্কুলে বদলীর জন্য আবেদন করতে পারেন। সে মতে, মহেশ্বরপাশা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মহিমা আক্তার হিরা বদলী হওয়ার জন্য পছন্দসই তিনটি স্কুলে অনলাইনে আবেদন করেছেন। ৭ এপ্রিল পর্যন্ত সময় ছিল থানা বা উপজেলা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক ওই আবেদন যাচাই বাচাই করা এবং তা জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর প্রেরণ করা। ৮-১৪ এপ্রিল পর্যন্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবেদন যাচাই বাচাই শেষে বিভাগীয় উপ-পরিচালক বরাবর ওই আবেদন প্রেরণ করা। গত ৪ এপ্রিল সাউথ এশিয়ান ক্রাইম ওয়াচ সোসাইটির মহাসচিব ওই শিক্ষিকার নানা অপকর্ম তুলে ধরে তিনি যাতে অন্য স্কুলে বদলী হতে না পারেন সে জন্য সদর থানা শিক্ষা অফিসারের নিকট অভিযোগনামা জমা দিয়েছেন। অভিযোগে আরো উল্লেখ কার হয়, মহেশ্বরপাশা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিমা আক্তার হিরা ইতোপূর্বে একই ক্লাস্টারাধীন রহিমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকাকালিন বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, সহকর্মীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ, দায়িত্ব অবহেলা, স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানাবিধ অপকর্ম জড়িয়ে পড়েন। এ ব্যাপারে তখন পত্র পত্রিকায় ব্যাপক লেখিলেখি হয়। এসব অভিযোগে জেলা প্রশাসন তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া সাপেক্ষে গত ২০১৯ সালে ২৩ জানুয়ারী তাকে অন্যত্র বদলীর সুপারিশ করা হয়। সে মতে, প্রধান শিক্ষক মহিমা আক্তার হিরাকে অন্যত্র বদলী করা হয়। সম্প্রতি উদয়ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিদায়ী প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে গুরুতর নানা অভিযোগ ওঠার পর তাকে অন্যত্র বদলী করা হয়। তাকে অন্যত্র বদলীর মধ্য দিয়ে স্কুলের সুনাম আবারো ফিরতে শুরু করেছে। এমনই সময় আরেক বিতর্কিত প্রধান শিক্ষিকা মহিমা আক্তার হিরাকে উদয়ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতে বদলী করা না হয় সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছে অভিযোগকারীরা। তারা বলেন, উদয়ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোন বিতর্কিত শিক্ষককে পদায়ন না করে একজন দক্ষ ও আদর্শবান প্রধান শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার দাবি জানানো হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্তৃপক্ষ বলছেন, অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে পছন্দসই স্কুলে যাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার সুযোগ নেই।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button