ঈদকে সামনে রেখে লাফিয়ে বাড়ছে মুরগির দাম : অভিযোগ ক্রেতাদের

সাইফুল্লাহ তারেক, আটরা গিলাতলা প্রতিনিধি ঃ ঈদকে সামনে রেখে খানজাহান আলী থানা এলাকার শিরোমনি, ফুলবাড়ীগেট, পথেরবাজার সহ বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার, সোনালী, লাল লেয়ার, প্যারেন্ট (পাকিস্তানি) ও দেশিসহ সব মুরগির দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সরকার নির্ধারিত দামে বাজারে মিলছে না মুরগি। ক্রেতারা বলছেন, মুরগির বাচ্চা সরবরাহ ও খাবারসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম স্বাভাবিকই রয়েছে। কিন্তু খামারি ও ব্যবসায়ীরা যোগসাজশে সিন্ডিকেট তৈরি করে মুরগি দাম বাড়াচ্ছেন। নেই প্রশাসনের বাজার তদারকি। এ কারণে আড়তদার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে সাধারণ মানুষ অসহায়। গতকাল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি ২২০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে যার দাম ছিল ১৮০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা। সোনালী মুরগিও কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। লাল লেয়ার মুরগি ৩৩০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে লাল লেয়ার কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। লাল প্যারেন্ট (পাকিস্থানি) ৩৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এটিও কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। আর দেশি মুরগি ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে দেশির দাম ছিল ৬০০ টাকা। দেশি মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০০ টাকা। বাজারে মুরগি কিনতে আসা জুট মিলের শ্রমিক রাজু বলেন ১৮০ টাকা কেজির ব্রয়লার মুরগি ২২০ টাকা কেজি নিলাম। তিনি জানান, গত এক সপ্তাহের মধ্যে সব মুরগির দাম বেড়েছে। ফুলবাড়ীগেট বাজারের খুচরা মুরগি ব্যবসায়ী সামাদ বলেন, মুরগি পাইকারি কিনতে আমাদের দাম বেশি পড়ছে। তাই বেশি দামে মুরগি বিক্রি করতে হচ্ছে। ফুলতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসনীম জাহান বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব সময় বাজার মনিটরিং করা হয়। বাজার মনিটরিংয়ে গিয়ে সব ব্যবসায়ীদের সরকার নির্ধারিত দামে সব কিছু বিক্রি করার নির্দেশনা দিয়েছি। এরপরও যদি কোনো ব্যবসায়ী অতিরিক্ত দামে মুরগিসহ সব মাংস ও সবজি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।