খুলনায় ছাত্র আন্দোলন নেতার হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার : রহস্য

স্টাফ রিপোর্টার ঃ নগরীর আড়ংঘাটা থানার গাইকুর গ্রামে হাত-পা বাঁধা ও গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ইউশাহ (১৭) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে তার বাবা দাবি করলেও হত্যা না আত্মহত্যা সে বিষয়ে প্রাথমিকভাবে পুলিশ কিছুই জানাতে পারেনি। এ ঘটনায় আড়ংঘাটা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। নিহত ইউশাহ আড়ংঘাটা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খায়রুজ্জামান ববির ছেলে। সে নগরীর হাজী মহসিন কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। এছাড়া সে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের আড়ংঘাটা থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিল সে। আড়ংঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসান আল মামুন বলেন, সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকালে ছেলেটির বাবাসহ তার স্বজনরা গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আমরাও হাসপাতালে গিয়ে দেখি। তার সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করি। এ ব্যাপারে সোমবার রাতেই আড়ংঘাটা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পোস্টমর্টেমের জন্য মৃতদেহ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পোস্টমর্টেম শেষে তার লাশ দাফন করা হবে। তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে আমরা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে কারণ উদঘাটনে সহজ হবে। তারপরও আমাদের তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। জানা যায়, নিহত ইউশাহ’র বাবা মা ঘটনার দিন দুপুর ২ টার দিকে দাওয়াত খাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। বিকাল সাড়ে পাঁচটায় তার বাবা মা দাওয়াত খেয়ে বাড়ির সামনে এসে দেখতে পান বাড়ির গেটের দরজা বন্ধ। অনেক চেষ্টা করে গেট খুলে ভিতরে ঢোকার পর ছেলেকে ডাকাডাকি করতে থাকেন। ডাকাডাকিতে সাড়া শব্দ না পেয়ে তার বাবা পিছনের জানালা দিয়ে হাত-বাঁধা, চোখে গামছা, বাঁশের আড়ার সাথে ছেলেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে ঘরের দরজা ভেঙ্গে তাকে নামিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিহত ইউশাহ’র বাবা খায়রুজ্জামান ববির অভিযোগ, আমার ছেলে সুইসাইড করেনি। কে বা কারা আমার ছেলেকে মেরে ফেলছে।
এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, নিহত ইউশাহ খুবই ভদ্র এবং নম্র প্রকৃতির ছিলো। নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতো। এলাকায় তার কোন শত্রু ছিল না। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের খুলনা মহানগর শাখার সহ-সভাপতি শেখ মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের আড়ংঘাটা থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিল। সে হাজী মহসিন কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার মৃত্যুর বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।