আরাফাত আবাসিক থেকে চোর চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার

একজনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী
স্টাফ রিপোর্টারঃ হরিণটানা থানার চৌকস টিম আরাফাত আবাসিক প্রকল্প এলাকা হতে অভিযান পরিচালনা করে চুরি মামলার সাথে জড়িত ৪নং আসামী শাহিন শেখকে (২৪) গ্রেফতার করে। সে আরাফাত আবাসিক প্রকল্প, আছাদ শেখের ছেলে। গ্রেফতারকৃত ৪নং আসামী শাহিন শেখকে ব্যাপক জিজ্ঞাবাদে অপরাপর আসামীদের নাম-ঠিকানা বসবাসের ঠিকানা প্রকাশ করে। সেই প্রেক্ষিতে পুনরায় আরাফাত আবাসিক প্রকল্প এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মামলার ঘটনার সাথে জড়িত ইয়াসিন খাঁন হৃদয়(২৪আকাশ হাওলাদার(২৪), মোঃ নাঈম শেখ(২৬)কে গ্রেফতার করা হয়। উক্ত গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে চুরি চেষ্টা মামালার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীদের তথ্যের ভিত্তিতে হরিণটানা থানাধীন আরাফাত আবাসিক প্রকল্প রুহুল মোল্লার ধান ক্ষেত হতে ১টি লোহার তৈরি চাপাতি, ১লোহার তৈরি ছোরা এবং ১টি লোহার তৈরি তালা ভাঙ্গা শাবল উদ্ধার করা হয়। এ সংক্রান্তে গ্রেফতারকৃত ৪নং আসামী শাহিন শেখ মামলার ঘটনার সাথে নিজেকে জড়িত করে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক দোষ স্বীকারোক্তেমুলক জবানবন্দি প্রদান করে। উল্লেখ্য, গত ১৯ এপ্রিল’২৪ দিবাগত রাত ৩টায় হরিনটানা থানাধীন মোঃ বনি আমিন হকের বাড়ির মেইন গেইটের কাঠের দরজা ভেঙ্গে অজ্ঞাত ৪/৫ জন ব্যক্তি বাদী রুমানা হকের বাসায় প্রবেশ করে। এ সময় চোর চক্রের সদস্যরা ডাইনিং রুমে থাকা মালামাল চুরি চেষ্টাকালে হঠাৎ বাদীর মেয়ের ঘুম ভেঙ্গে যায়। মেয়ের ডাক চিৎকারে বাদী রুমানা হকেরও ঘুম ভেঙ্গে যায়। পরবর্তীতে বাদী দরজা খুলতেই অজ্ঞাত ব্যক্তিগণ রুমের ভিতরে প্রবেশ করলে বাদীর স্বামী তাদেরকে প্রতিহত করতে গেলে তাদের হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে আঘাত করে। উক্ত আঘাতে বাদীর স্বামী মোঃ বনি আমিন হকের হাতে রক্তাক্ত কাটা জখম প্রাপ্ত হয় এবং বাদীও তাদেরকে প্রতিহত করতে গেলে সাধারণ আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরবর্তীতে পাশের রুমে থাকা বাদীর ছেলে আসিফ ইমতিয়াজ সৌমিক টের পেয়ে জরুরী সোবা ৯৯৯ এ ফোন করে এবং ডাক চিৎকার শুরু করলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিগণ পালিয়ে যায়। ঘটনার তথ্য পেয়ে হরিণটানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় একই সাথে অসুস্থ বাদী ও তার স্বামী হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। প্রেক্ষিতে হরিণটানা থানার মামলা নং-০৪, তাং-১৯/০৪/২০২৪ খ্রিঃ, ধারা-৪৫৭/৩৮২/৫১১ পেনাল কোড দায়ের করা হয়।