যশোরে বাড়ির নির্মাণে বাধা প্রদান ও মারপিটের ঘটনায় ২ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

যশোর ব্যুরো ঃ বাড়ি নির্মাণে ভিত খুড়ার সময় স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা বাধা প্রদানসহ প্রকাশ্যে পিস্তল ঠেকিয়ে মারপিটসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে নগদ ১লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনাটি যশোর সদর থানার ডাকাতিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামে। শনিবার ২০ এপ্রিল রাতে মামলাটি করেন, ওই গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে মাসুদ রান। মামলায় আসামী করেন, একই এলাকার মৃত বদর উদ্দিনের ছেলে আলম, মৃত শহর মোল্লার ছেলে তুহিন, মৃত মোহর মোল্লার ছেলে ছবুর মোল্লা, ভেকুটিয়া গ্রামের আব্দুল আওয়ালের ছেলে রাফি, আব্দুল আওয়ালের ছেলে রনি,আব্দুল আওয়াল, ইউসুফসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন। পুলিশ এজাহার নামীয় প্রধান আসামী আলম, আব্দুর রহমান ওরফে রাফিকে গ্রেফতার করে রোববার ২১ এপ্রিল আদালতে সোপর্দ করেছে। মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, আলম সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ দলের সক্রিয় সদস্য। ডাকাতিয়া মেইন রোডের পাশের্^ বাদির সাড়ে ৬শতক জমি আছে। আলম উক্ত জমি লিখে নেওয়ার জন্য খুন জখম করার হুমকী দিয়ে সুযোগ খুজতে থাকে। গত ২০ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯ টায় বাদি তার বসত বাড়িতে ভিত খুড়ার সময় আসামীরা বসত বাড়ির উঠানে এসে আলমের হুকুমে সকল আসামীরা বাদিকে চারিপাশ থেকে ঘিরে ধরে রাখে। আলম বাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে আকস্মিকভাবে মাজা হতে পিস্তল বের করে বাদির বুকের উপর চেপে ধরে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে পিস্তলের উল্টো পিট দিয়ে মাথার উপর,বুকে পিঠে শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে চাপা ফোলা জখম করে। বাড়ি নির্মানে রড ও সিমেন্ট কেনার নগদ ১লাখ টাকা বাদির টাউজারের পকেটে থাকা ছিনিয়ে নেয়। আসামীদের মধ্যে কয়েকজন বাদিকে জাপটে ধরে। এসময় তাদের সহযোগী আসামীরা লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার উপরে ও শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে চাপা জখম করে। বাদির বোন নাছিমা (৩৮) ঠেকাতে চেষ্টা করলে আলমসহ অন্যান্য আসামীরা বাদির বোনকে মারপিট করে ও পরনের কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। বাদি ও তার বোনের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসালে সন্ত্রাসীরা হুমকী দিয়ে চলে যায়। বাদি যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল থেকে চিকিৎসা গ্রহন করে। পরে থানায় রাতে থানায় মামলা করলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলম ও তার সহযোগী আব্দুর রহমান রাফিকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করে। রোববার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করেন।