স্থানীয় সংবাদ

খুলনাকে আধুুনিক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে

১৪৩তম খুলনা দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা

খবর বিজ্ঞপ্তিঃ খুলনাকে আধুনিক অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ করে তুলে ধরতে হলে পীর আউলিয়ার দরবার শরীফ, বাগেরহাটের খাজা খানজাহান আলী (রঃ)মাজার শরীফকে আধুনিকায়ন, পৃথিবীর বিখ্যাত ফরেষ্ট সুন্দরবনকে আধুনিক পর্যাটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। যেখানে নুতন নুতন হোটেল মোটেল গড়ে উঠবে সেখানে শুধু দেশি পর্যাটক নয় বিদেশি পর্যাটক আগমন ঘটবে ফলে জাতীয় অর্থনিতীতে খুলনা গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখতে পারবে। শিল্প নগরী খুলনার বন্ধ হওয়া সকল মিল চালুসহ নুতন নুতন শিল্প কারখানা স্থাপন করে বেকার ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ শ্রমিকদের কাজে ফিরিয়ে অর্থনৈতিক ভাবে কর্মচাঞ্চল্য স্মৃষ্টি করতে হবে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় ১৪৩তম খুলনা দিবস উপলক্ষে বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে সংগঠনের সভাপতি ডা. মো. নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক এস এম মাহাবুবুর রহমান খোকনের পরিচালনা বক্তারা খুলনার ইতিহাস ঐতিহ্য সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরে বলেন, ১৮৪২ সালে ভৈরব রূপসা বিধৌত পূর্ন্যভূমি নয়াবাদ থানা ও কিসমত খুলনাকে কেন্দ্র করে নুতন জেলার সদর হয় খুলনা। খুলনা মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ব্রিটিশদের প্রশাসনিক এলাকা বৃদ্ধি এবং ভৌগলিক অবস্থার ফলে খুলনা হয়ে উঠে গুরুত্বপূর্ন। মাত্র ৪০ বছরে ব্যবধানে ৪হাজার ৬৩০ বর্গমাইল এলাকা, ৪৩হাজার ৫০০ জন সংখ্যা অধ্যুষিত খুলনা বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা নিয়ে ১৮৮২ সালে ২৫ এপ্রিল গেজেট নোটিফিকেশন হয়। সেই থেকে খুলনা দিবস পালিত হয়ে থাকে। বক্তারা আরো বলেন, এর জন্য চাই গণমানুষের দাবি খুলনায় পাইপ লাইনে গ্যাস, খুলনার মানুষের দীর্ঘ দিনের সাহিত্য কৃষ্টি কালচার সংস্কৃতি জাতীয় আন্তজাতিক ভাবে তুলে ধরতে খুলনায় পুর্নাঙ্গ টিভি কেন্দ্র অত্যান্ত জরুরী, দেশের দ্বিতীয় সামুদ্রিক বন্দর মোংলা উন্নয়ন হলেও আরো আধুনিকায়ন চাই। ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের একুশ জেলায় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় পদ্মা ব্রীজ নির্মিত হওয়ায় যোগাযোগ ক্ষেত্রে আমুল পরিবর্তন হলেও পদ্মা ব্রীজ কেন্দ্রিক দ্রুত অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার যেমন দাবি তেমনি জাতীয় আন্তজাতিক ভাবে দ্রুত যোগাযোগের জন্য দেশের তৃতীয় বৃহতম শহর খুলনায় বিমান বন্দর স্থাপন সহ ন্যায় সংগত দাবি আদায়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহব্বান জানিয়ে বলেন তাহলে খুলনা দিবস পালন হবে যথার্থ। সভায় বক্তৃতা করেন এবং উপস্থিত ছিলেন ডা. সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, ডা. আ. সালাম, মো. কামরুল ইসলাম কামু, সোনালি ব্যাংক সাবেক ডি জি এম এফ এম মনিরুজ্জামান, শেখ ইলিয়াস, এহসানুল হক, মাসুম বিল্লাহ, শেখ মোহাম্মাদ আলি, এম এ জলিল, কাওসারি জাহান মঞ্জু, মো. কামরুল ইসলাম ভুট্রো, সাংগাঠনিক সম্পাদক মো. শাকিল আহমেদ রাজা, আ. রাজ্জাক কারি শরীফ মিজানুর রহমান, মো. মাহাবুবুর রহমান, শেখ শহিদুল ইসলাম, মো. আরিফ আহমেদ, মো. জিসান রহমান, মো. তাহেরুল আলম, মো. শফিকুল ইসলাম অভি, শেখ রফিকুল ইসলাম রফিক, আ. মান্নান মুন্নাফ, ইকবাল হোসেন তোকা, শিক্ষক আ. মান্নান, মো. জয়নাল আবেদিন, মো. আয়নুল হক, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. জাভেদ আক্তার, মো. আলাউদ্দিন, মো. মিকাইল হোসেন, তৈয়বুর রহমান, মো. আবু বক্কার, মো. আজমল হোসেন প্রমুখ। অুনষ্ঠান শেষে উপস্থিত সকলের মাঝে কেক পরিবেশন করা হয়।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button