স্থানীয় সংবাদ

তিব্র তাপপ্রবাহে তপ্ত রোদে নি¤œ আয়ের মানুষের মাথায় হাত

তপ্ত রোদে ক্রেতা শূণ্য চায়ের দোকান

শেখ ফেরদৌস রহমান :তিব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ গতকাল খুলনায় ছিল সর্বেচ্চ তাপমাত্রা যা গেল ২৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এতে করে আরও বেশি বিপাকে আর মাথায় হাত যেন নি¤œ আয়ের মানুষের। আয় রোজগার কমে যাচ্ছে। চায়ের দোকান গুলোতে নেই কোন ক্রেতা জীবিকার তাগিদে সারাদিন ঘন্টার পর ঘন্টা কাঠ পুড়িয়ে বসে থেকেও যেন ক্রেতা শূণ্য এসব দোকান। এছাড়াও দিনের বেলায় সড়কে মানুষের আনাগোনাও কম দেখা যাচ্ছে। এ বিষয়ে কথা হয় সাচিবুনিয়া দারোগার ভিটা এলাকায় চায়ের দাকানি মোঃ মেহেদীর সাথে তিনি বলেন, দিনের বেলা এখন আর দোকান খোলা হচ্ছে না। মূলতঃ কোন ক্রেতা আসছে না চায়ের দোকানে। এই গরমে যে হাসফাস অবস্থা কিভাবে মানুষ গরম চা পান করবে। তবে বিকালের পর একটু খোলা হলেও পাওয়া যায় না ক্রেতা। ক্রেতারা দোকানে আসলেও শুধু পানি পান আর সাথে দুই একটি বিস্কুট সিগারেট খাওয়ার ক্রেতা পাওয়া যায়। এই দাবদাহে আমার প্রায় বিশ হাজার টাকার লোকশান হয়েছে। এতে করে নিজের সংসার চালাতে আমি হিমশিম খাচ্ছি । এছাড়া কথা হয় নগরীর খালিশপুর এলাকার দিনমজুর মোঃ আজাদুল এর সাথে তিনি বলেন, আমি রাজমিস্ত্রীর কাজ করি। তবে এই গরমে এখন আর কাজে যেতে পারছি না। আগে জীবন তারপর কাজ এই তিব্র গরমের মধ্যে কাজ কিভাবে করব। তবে মহাজনের সাথে কথা হয়েছে আগামী কাল হতে রাত্রের বেলায় কাজ করব। এছাড়া দেখা যায় গরমের মধ্যে দিনের বেলায় ইজিবাইক চালকেরা গাছ তলায় বা ছায়া জায়গায় বসে ঘুমাচ্ছে। গরমে শরিরে ক্লান্তি নিয়ে আর গাড়ী চালাতে পারছেনা রোজগার যা হচ্ছে তা নিয়ে কোন রকম সংসার চলছে। পাশাপাশি সড়কে দেখা যাচ্ছেনা ভ্রাম্যমান ভ্যানে করে তরকারি বা অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী সহ বিভিন্ন হকারদের। তবে গতকাল খুলনা নগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষে বিশুদ্ধ খাবার পানি স্যালাইনসহ ঠান্ডা সরবত সরবরাহ করছে এসব নি¤œ আয়ের মানুষের জন্য। একই কথা বলেন, নগরীর ফেরীঘাট মোড় এলাকার চায়ের দোকানী মোঃ মুসলিম এর সাথে তিনি বলেন, দিনের বেলায় সারাদিনে একশ টাকাও বিক্রি হয়না রাত্রের বেলায় সামান্য বিক্রি হলেও এই সামান্য বিক্রির টাকায় চলছে না সংসার। এই গরমে কে আসবে চায়ের দোকানে। সবাই ঠান্ডা পানি আর শরবত আইসক্রিম খাওয়া নিয়ে ব্যস্ত । ভেবেছিলাম বৃষ্টি হলে সব কিছু ঠিক হবে। তবে এখনও বৃষ্টির কোন দেখা নেই। এছাড়া বয়স হয়েছে আগের মত শ্রম দিতে পারছিনা। ছোট ছেলে একটু সাহায্য করে বলে এখনও দোকন টিকে আছে কোন রকম। এদিকে আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে আগামী তিনদিন আরও তাপপ্রবাহ থাকতে পারে তবে দুই তারিখ এর পর বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আকাশে মেঘ হলে তাপ কমবে। আবার মেঘ সরে গেলে তাপ বাড়বে এভাবে চলতে পারে এই মৌসুম।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button