স্থানীয় সংবাদ

খুলনায় ১০ বছরের মধ্যে এপ্রিলে সর্বনি¤œ বৃষ্টি : বেড়েছে তাপদাহের স্থায়িত্ব

স্টাফ রিপোর্টারঃ খুলনায় কমেছে বৃষ্টিপাত, আর বেড়েছে তাপমাত্রা এবং তাপদাহের স্থায়িত্ব। এ বছর সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা গত ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর আগে, ২৫ এপ্রিল তাপমাত্রা ছিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এদিকে গত ১০ বছরের মধ্যে খুলনায় চলতি এপ্রিলে সর্বনি¤œ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি এপ্রিলে বৃষ্টিপাত হয়েছে মাত্র ৭ মিলিমিটার। সোমবার খুলনা আবহাওয়া অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। খুলনা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, খুলনায় এ বছর সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর চলতি এপ্রিল মাসে বৃষ্টিপাত হয়েছে মাত্র ৭ মিলিমিটার। গত বছর ১৬ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে গত বছর তাপদাহের স্থায়িত্বকাল ছিল এ বছরের তুলনায় কম। গত বছর এপ্রিলে বৃষ্টি হয়েছিল ৩৪ মিলিমিটার। এর আগে, ২০০০ সালের এপ্রিলে বৃষ্টিপাত হয়েছিল ৭০ মিলিমিটার। ওই বছর এপ্রিলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ২০১৪ সালের এপ্রিলে বৃষ্টি হয়েছিল ৫০ মিলিমিটার, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সূত্রটি জানায়, গত বছরগুলোতে তাপমাত্রা বাড়লেও কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টি হওয়ায় তাপদাহের স্থায়িত্বকাল কম ছিল। চলতি এপ্রিল মাসে বৃষ্টি কম হওয়ায় গরমের প্রভাব বেশি। খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, বছরের অন্যান্য মাসের তুলনায় এপ্রিল মাসে স্বাভাবিকভাবেই গরম বেশি থাকে। তবে খুলনায় তাপমাত্রা দিন দিন বাড়ছে এবং সেই সঙ্গে তাপদাহের স্থায়িত্বকালও বেড়েছে। তাদদাহের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৃষ্টিপাত কমে যাওয়াই এর অন্যতম কারণ। এছাড়া খুলনায় অনেক জলাশয় ভরাট করে অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। অনেক নদী-খাল শুকিয়ে গেছে। পাশাপাশি গাছপালা কেটে ফেলার কারণেও গরম বেড়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী বলেন, খুলনায় অনেক জলাধার ভরাট করে ফেলা হয়েছে। এসব জলাশয় তাপ শোষণ করে নিত। আগে অনেক গাছপালা ছিল, সেগুলো অক্সিজেন সরবরাহ এবং কার্বনডাই অক্সাইড শোষণ করত। এখন গাছপালা কমে যাওয়ায় বাতাসে কার্বনডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়েছে। তিনি জানান, খুলনায় আগের তুলনায় এসি’র সংখ্যা ও ব্যবহার বেড়েছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির এটিও একটি কারণ। এছাড়া খুলনায় লবণাক্ততা বেড়েছে। লবণাক্ততার কারণে বাতাসে আর্দ্রতা ও লবণের পরিমাণ বেশি থাকায় গরম বেশি লাগছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button